শেষ আপডেট: 14th November 2024 12:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বের সবথেকে বেশি ডায়াবেটিস রোগীর ঠিকানা ভারত। ১৪০ কোটির দেশে প্রায় ২১.২ কোটি সুগার রোগী রয়েছেন। তাও ২০২২ সালের হিসাবে। এরপরেই রয়েছে চিন। সেখানে প্রায় ১৪.৮ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন ৪ কোটি ২০ লক্ষ সুগার রোগী। ল্যানসেটের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই তথ্য ধরা পড়েছে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু মিলিয়ে বিশ্বে আনুমানিক ৮৩ কোটি ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন। ১৯৯০ সালের হিসাবে যা চারগুণ বেশি। এরমধ্যে ভারতে বসবাসকারী প্রতি ১০ জন রোগীর মধ্যে ৩ জনের যথাযথ চিকিৎসা জোটে। সমীক্ষায় রোগ ধরা পড়া এবং চিকিৎসার ফাঁকটি বিরাটভাবে ধরা পড়েছে।
১৪ নভেম্বর দিনটি প্রতিবছর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসাবে পালিত হয়। তার আগের দিন অর্থাৎ বুধবার ল্যানসেট এই সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করে। ১৯৯০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের সুগারে আক্রান্তের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ১৯৯০ সালে সুগার আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ২১ শতাংশ মহিলা এবং ২৫ শতাংশ পুরুষ চিকিৎসা পেয়েছিলেন।
তিন দশক পর ২০২২ সালে সেই হার যথাক্রমে ২৮ এবং ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এই সমীক্ষার অন্যতম সহায়ক এবং মাদ্রাজ ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট রঞ্জিতমোহন অঞ্জনা বলেন, যুবক-যুবতীদের মধ্যে সাধারণত ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে জড়তা কাজ করে। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পরেও তাঁরা ওষুধ খেতে অনীহা প্রকাশ করেন। মানুষ খুব উপেক্ষার দৃষ্টিতে নেয় এবং ওষুধ খেতে চায় না। এই অবস্থায় ডায়াবেটিসের কারণে অকালমৃত্যু ঠেকাতে এবং অসুস্থতা রোধে আমাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত।
বিশ্বব্যাপী ৪৪.৫ শতাংশ ৩০ বছরের যুবক-যুবতী এবং ৫৯ শতাংশ প্রবীণ চিকিৎসার সাহায্য নেননি। ১৯৯০ সালের থেকে যা সাড়ে তিনগুণ বেশি। এরমধ্যে ১৩.৩ কোটি মানুষ ভারতীয়। চিন দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সেখানে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। গতবছর একটি বেসরকারি সমীক্ষায় ভারতীয় গবেষকরা দেখিয়েছিলেন দেশের প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষ রোগাক্রান্ত। এ ব্যাপারে অঞ্জনার মতে, দুটির মতামত ভিন্ন হওয়ার কারণ হল সমীক্ষাকারীদের পদ্ধতিগত ফারাক।