ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 21 February 2025 18:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবৈধভাবে বসবাসকারী (US deportees) নাগরিকদের তাঁদের নিজেদের দেশে ফেরানোর যে কাজ আমেরিকা শুরু করেছে তাতে বিতর্ক বেঁধেছে। কারণ মার্কিন প্রশাসনের (Donald Trump Administration) বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ভিনদেশি নাগরিকদের পা-হাত বেঁধে, কোমরে শিকল পরিয়ে প্লেনে তোলা হয়েছে। আমেরিকার তরফে শেয়ার করা ভিডিওতেও একই ছবি ফুটে ওঠে। ভারত বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। কিন্তু শেষ দু'বার নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর সময়ে সকলের সঙ্গে এমন আচরণ আমেরিকা করেননি বলেই এখন জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
প্রথম দফায় ১০৪ জনকে আমেরিকা ভারতে ফেরত পাঠিয়েছিল। পুরুষ, মহিলা এমনকী শিশুদেরও চেন দিয়ে বেঁধে বিমানে তুলেছিল তাঁরা। মার্কিন প্রশাসনের তরফে ভিডিও শেয়ার করে সেই সময়ে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে বলা হয়েছিল, 'এলিয়েনদের ফেরত পাঠাচ্ছি।' সেই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। তবে ভারত জানিয়েছে, শেষ দু'দফায় যাদের দেশে পাঠানো হয়েছে তাঁদের সকলকে চেন দিয়ে বাঁধেনি আমেরিকান সেনা। ছাড়া হয়েছে মহিলা এবং শিশুদের।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ১১৬ জন এবং তৃতীয় দফায় ১১২ জন অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। তাঁদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুদের কোনওভাবে শিকল দিয়ে বাঁধা বা কোমরে দড়ি পরানো হয়নি। যদিও পুরুষদের সকলকেই আগের মতো 'বন্দি' বানিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এই নিয়ে নয়াদিল্লি কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
যারা ইতিমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন তাঁরা অধিকাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা ছাড়াও গুজরাত, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে যারা আমেরিকা থেকে ফিরেছেন তাঁদের অনেকেই দাবি করেছেন, কীভাবে তাঁদের 'অত্যাচার' করা হয়েছে সে দেশের ডিটেনশন ক্যাম্পে। তার আগে বিমানে তাদের হাত-পা বাঁধা, কোমরে চেন পরানোর ছবি, ভিডিও তো সামনে এসেইছিল।
এদিকে আবার জানা গেছে, দেশে ফেরত পাঠানোর আগে বহু নাগরিককে পানামার এক হোটেলে 'বন্দি' করে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। পানামার একটি হোটেলে কমপক্ষে ৩০০ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন বলে খবর। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভারতীয়। তাঁরা হোটেলের জানলা থেকে কাগজে লেখা বার্তা দিচ্ছেন। কেউ বলছেন, তাঁরা নিজেদের দেশে সুরক্ষিত নন। কেউ আবার সরাসরি সাহায্য চাইছেন। ভারত ছাড়াও নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চিন সহ আরও একাধিক দেশের নাগরিকদের আটক করেছে আমেরিকা।