শেষ আপডেট: 14th March 2025 18:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত বুধবারই কর্নাটকের (Karnataka) হাভেরি (Haveri) জেলার তুঙ্গভদ্রা নদীতে (ungabhadra River) এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। যদিও পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানায় তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতেই সে কথা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৃতদেহ উদ্ধারের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর তরুণীর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। ২২ বছর বয়সি স্বাতী হাভেরির রত্তিহাল্লি তালুক এলাকার মাসুরুর বাসিন্দা রমেশ ব্যাদাগির মেয়ে। গত বুধবার দিনভর মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসলে ৭ মার্চ পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার পুলিশ হিরেকেরুর শহর থেকে ২৮ বছর বয়সি নায়াজকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের কাছে সে সব অপরাধ স্বীকার করে এবং জানায় তার দুই সহযোগী, দুর্গা চারি বাদিগার এবং বিনায়ক পূজার তাকে সাহায্য করেছিল। তিনজন স্বাতীকে রানেবেন্নুর শহরের সুবর্ণ পার্কে নিয়ে যায়। তারপর রাত্তিহাল্লির একটি পরিত্যক্ত স্কুলে নিয়ে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। পরে রাত ১১টার দিকে বিনায়কের গাড়িতে করে তরুণীর মৃতদেহ নিয়ে এসে তুঙ্গভদ্রা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
স্বাতীর মা ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, "মেয়ে বলেছিল যে সে বাইরে যাবে এবং ফিরে আসবে, কিন্তু সে আসেনি। ৩ মার্চ পুলিশের কাছে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়েরের আগে আমরা সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও তাঁর দেখা মেলেনি। কে বা কারা এমন ঘটনার সঙ্গে সে বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই। আমি মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চাই। সে যেই হোক, বন্ধু হোক বা অন্য যে কেউ, কঠোর শাস্তি পেতেই হবে।"
হাভেরির পুলিশ সুপার অংশু কুমার বলেন, “৬ মার্চ হালগেরি পুলিশ তুঙ্গভদ্রা নদীতে একটি অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর জানা যায় তরুণীকে খুন করা হয়েছে। এরপর ১১ মার্চ তরুণীর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। এরপরই জানা যায় নায়াজ, বিনায়ক এবং দুর্গা চারি নামে তিন অভিযুক্ত ৩ মার্চ রানেবেন্নুরের কাছে স্বাতীকে নিয়ে যায় এবং তাঁকে খুন করে দেহ নদীতে ফেলে দেয়।
ইতিমধ্যে নায়াজকে গ্রেফতার করলেও বাকি দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে দুটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের মতে, চারজন প্রথম থেকেই একে অপরকে চিনত এবং কোনওরকম শত্রুতার কারণেই এমন পরিণতি।