প্রতীকী চিত্র
শেষ আপডেট: 1 December 2024 13:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে মাথা ব্যাথার শেষ নেই দেশবাসীর। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে মানুষকে। এবার মুম্বইয়ের এক যুবতী ডিজিটাল গ্রেফতারির ফাঁদে পড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে শুধু টাকা নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি প্রতারক। অভিযোগ ভিডিও কলে তাঁকে পোশাক খুলতেও বাধ্য করা হয়।
ঠিক কী হয়েছিল?
যুবতী পুলিশকে জানিয়েছে, গত ১৯ নভেম্বর রাতে তিনি একটি ফোন পান। প্রতারক নিজেকে দিল্লির পুলিশ অফিসার বলে দাবি করে জানায়, তরুণীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নরেশ গোয়েলের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন নম্বর থেকে বারবার ফোন করে দাবি তাঁকে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হয়।
শুধু তাই নয়, যুবতীকে একটি হোটেল রুম নিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। জানানো হয় সেখানে নাকি তাঁর ভার্চুয়াল শুনানি হবে। এরপর হোটেলের ঘরে ভিডিয়ো কল করে তাঁকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী তরুণী মুম্বইয়ের এক বেসরকারি ফার্মাসি কোম্পানিতে কর্মরত। তরুণীর অভিযোগ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাইয়ের নামে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শরীর শনাক্ত করতে চেয়ে তাঁকে বিবস্ত্র করতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
দিন কয়েক আগেই কেন্দৃয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, গত ১০ মাসে ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার হয়ে ২,১৪০ কোটি টাকা খুইয়েছেন সাধারণ মানুষ। থাইল্যান্ড, হংকং, লাওসের মতো একাধিক দেশ থেকে ভারতের মাটিতে চলছে এই প্রতারণা। জানা গেছে, অন্ধেরি থানার পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ পেতে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নানা ধরায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে সে বিদেশে বসেই পুরো বিষয়টি করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিজিটাল গ্রেফতারি বা ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে বার বার সতর্ক বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সাইবার প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে দেশবাসীকে সচেতন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সাইবার ফাঁদ এড়াতে হলে সচেতনতাই এক মাত্র পথ। মনে রাখা দরকার পুলিশ, ইডি, সিবিআই, ট্রাই বা কোনও সরকারি সংস্থাই ফোন করে কাউকে বলে না যে নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হবে। বা কাউকে ফোন করে টাকা চায় না। এমনকি ব্যাঙ্ক থেকেও এভাবে ফোন আসে না।