১২ জুনের দুপুরটা যেন চিরকালীন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল সুরেশ ও সীতাবেনের কাছে। আমদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে চায়ের দোকান চালিয়ে কোনও রকমে দিন চলে তাঁদের।
বৃহস্পতির দুপুরটা যেন চিরকালীন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল সুরেশ-সীতাবেনের কাছে।
শেষ আপডেট: 14 June 2025 13:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১২ জুনের দুপুরটা যেন চিরকালীন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল সুরেশ ও সীতাবেনের কাছে। আমদাবাদ বিমানবন্দরের (Ahmedabad Airport) কাছে চায়ের দোকান চালিয়ে কোনও রকমে দিন চলে তাঁদের। সেই দোকানের পাশেই, গাছতলায় ঘুমিয়ে ছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান, আকাশ।
বেলা পৌনে ২টো নাগাদ বছর ১৪-র ছেলেটির ওপরই আছড়ে পড়ে আগুনপিণ্ড—এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Plane Crash) বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের লেলিহান শিখা। মাত্র ৩৬ সেকেন্ডের উড়ান। তারপরই বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়ে অভিশপ্ত বিমান। তারপরই বিস্ফোরণ। সেই ধ্বংসস্তূপেই ঢাকা পড়ে যায় আকাশের ছোট্ট প্রাণ।
সীতাবেন ছুটে গিয়েছিলেন ছেলেকে বাঁচাতে। কিন্তু আগুনে ঘেরা দোকানের দিকে আর এক পা এগোতেই দগ্ধ হয়ে যান তিনিও। এখন তিনি আমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
"প্লেনটা দেখিনি... শুধু আগুন আর ধোঁয়া..."
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ভাঙা গলায় সীতাবেন জানিয়েছেন, “আমি প্লেনটা দেখিনি। হঠাৎ বিশাল আওয়াজ। তারপর আগুন আর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেল সব। কিছু দেখা যাচ্ছিল না। আমার ছেলে দোকানের ভিতর ঘুমোচ্ছিল। সেখানেই মরে গেল…।”
ঘটনার সময় আকাশ ওর বাবার সঙ্গে বাড়িতেই ছিল। পরে মাকে খাবার দিতে গিয়েছিল দোকানে। তখনই ক্লান্ত হয়ে মায়ের পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে সে। কেউ ভাবেনি, আকাশের আর ঘুম ভাঙবে না।
"মৃতদেহটা মর্গে পড়ে আছে… আর কিছুই নেই"
আকাশের বাবা সুরেশের কথায়, “আমরা তিনজনেই ছিলাম আলাদা জায়গায়। ও শুধু মাকে খাবার দিতে গিয়েছিল। আমি আর ওর মা আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর ওকে খুঁজছিলাম। পরে হাসপাতাল থেকে বলা হল, দেহটা মর্গে রাখা আছে…।”