Date : 12th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
Eng vs Ind: বুমরাহর দাপটের পর ভারতকে টানছে রাহুল-পন্থ জুটিঘটকালির ছকে প্রেমের ফাঁদ! ম্যাট্রিমনি সাইটে পরিচয়, ৪৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে পগারপার পাত্রফের শহরে সিভিক ভলান্টিয়ারের 'দাদাগিরি'! ৬টি ধারায় মামলাভিন্ন ধর্মে বিয়ে, মেয়ের কুশপুতুল দাহ করলেন বাবা, চাঞ্চল্য রাজগঞ্জেস্ত্রীকে নির্যাতন, পরকীয়ার অভিযোগে পদ খোয়ালেন তৃণমূল ব্লক সভাপতিরাস্তায় যৌন হেনস্থা, ঠাটিয়ে চড় ফতিমাকে! শিউরে ওঠা ঘটনার বিবরণ দিলেন অভিনেত্রীচিকিৎসককে হুমকি, কাঞ্চনের 'অপরাধ' দেখছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি! দিলেন ব্যাখ্যাওWorld Kebab Day: আজ বিশ্ব কাবাব দিবস, সপ্তাহান্তে লোভাতুর বাঙালির জন্য রইল শহরের ৫ দোকানের হদিসLocal Trains Cancel: আবার একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল, দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরাছিল তিন, হল চার, পুজোর ছবিতে নাটকীয় এন্ট্রি নিলেন দুঁদে গোয়েন্দা! চিন্তায় প্রযোজকরা
Ahmedabad Plane Crash

ঘুমের মধ্যেই ছোট্ট শরীরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ঝলসে গেলেন মা

১২ জুনের দুপুরটা যেন চিরকালীন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল সুরেশ ও সীতাবেনের কাছে। আমদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে চায়ের দোকান চালিয়ে কোনও রকমে দিন চলে তাঁদের।

ঘুমের মধ্যেই ছোট্ট শরীরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ঝলসে গেলেন মা

বৃহস্পতির দুপুরটা যেন চিরকালীন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল সুরেশ-সীতাবেনের কাছে।

শেষ আপডেট: 14 June 2025 13:47

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১২ জুনের দুপুরটা যেন চিরকালীন এক দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল সুরেশ ও সীতাবেনের কাছে। আমদাবাদ বিমানবন্দরের (Ahmedabad Airport) কাছে চায়ের দোকান চালিয়ে কোনও রকমে দিন চলে তাঁদের। সেই দোকানের পাশেই, গাছতলায় ঘুমিয়ে ছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান, আকাশ।

বেলা পৌনে ২টো নাগাদ বছর ১৪-র ছেলেটির ওপরই আছড়ে পড়ে আগুনপিণ্ড—এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Plane Crash) বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের লেলিহান শিখা। মাত্র ৩৬ সেকেন্ডের উড়ান। তারপরই বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়ে অভিশপ্ত বিমান। তারপরই  বিস্ফোরণ। সেই ধ্বংসস্তূপেই ঢাকা পড়ে যায় আকাশের ছোট্ট প্রাণ।

সীতাবেন ছুটে গিয়েছিলেন ছেলেকে বাঁচাতে। কিন্তু আগুনে ঘেরা দোকানের দিকে আর এক পা এগোতেই দগ্ধ হয়ে যান তিনিও। এখন তিনি আমদাবাদ সিভিল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

"প্লেনটা দেখিনি... শুধু আগুন আর ধোঁয়া..."

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ভাঙা গলায় সীতাবেন জানিয়েছেন, “আমি প্লেনটা দেখিনি। হঠাৎ বিশাল আওয়াজ। তারপর আগুন আর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেল সব। কিছু দেখা যাচ্ছিল না। আমার ছেলে দোকানের ভিতর ঘুমোচ্ছিল। সেখানেই মরে গেল…।”

ঘটনার সময় আকাশ ওর বাবার সঙ্গে বাড়িতেই ছিল। পরে মাকে খাবার দিতে গিয়েছিল দোকানে। তখনই ক্লান্ত হয়ে মায়ের পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে সে। কেউ ভাবেনি, আকাশের আর ঘুম ভাঙবে না।

"মৃতদেহটা মর্গে পড়ে আছে… আর কিছুই নেই"

আকাশের বাবা সুরেশের কথায়, “আমরা তিনজনেই ছিলাম আলাদা জায়গায়। ও শুধু মাকে খাবার দিতে গিয়েছিল। আমি আর ওর মা আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর ওকে খুঁজছিলাম। পরে হাসপাতাল থেকে বলা হল, দেহটা মর্গে রাখা আছে…।”


ভিডিও স্টোরি