বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য রেনুকাকে বারবার চাপ দিতে থাকে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে রাস্তা থেকেি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 22 May 2025 17:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিয়ের পর পাঁচ বছর কেটে গেছে তাও সন্তানের জন্ম (child birth) দিতে পারেনি বাড়ির বউ। সেই ‘অপরাধে’ মহিলাকে দমবন্ধ করে নির্মমভাবে খুন করল শ্বশুরবাড়ির লোক। তারপর বাইকের সঙ্গে বেঁধে ১২০ মিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়াও হয়েছিল, যাতে দুর্ঘটনা বলে পুলিশি ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) বেলাগাভিতে (Belagavi)। এই ঘটনায় স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃতা মহিলার নাম রেনুকা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক কিছু অসুস্থতার কারণে মা হতে সমস্যা হচ্ছিল রেনুকার। এদিকে বিয়ের এত বছর বাদে সন্তান না হওয়ায় স্বামী সন্তোষ সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করে। সেই স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপরই বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার জন্য রেনুকাকে বারবার চাপ দিতে থাকে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় রেনুকাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘শনিবার সন্ধ্যায় প্রথমে যখন আমাদের কাছে কল আসে, তখন জানানো হয়েছিল যে ছেলের বউ এক মারাত্মক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। শ্বশুর-শাশুড়ি আর বৌমা একই বাইকে আসছিলেন। বাইকটি চালাচ্ছিলেন শ্বশুর নিজে। পেছনে তার স্ত্রী এবং তারপর বৌমা।’
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন কোনও যুক্তিসম্মত উত্তর দিতে পারেনি তারা। তাতে পুলিশের সন্দেহ হয়। এরপরই কড়া জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় তারা।
জানা গেছে, শ্বশুরই খুন করেছে রেনুকাকে। মন্দির থেকে ফেরার পথে রেনুকাকে আনতে যায় তার শ্বশুর-শাশুড়ি। রাস্তায় প্ল্যানমাফিক তারা বাইক থেকে ফেলে দেয় রেনুকাকে। তাতেও কাজ না হওয়ায় দমবন্ধ করে খুন করে তারা। তারপর রেনুকার নিজের শাড়ি দিয়েই বাইকে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় ১২০ মিটার, যাতে দুর্ঘটনা বলে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া সহজ হয়।
ঘটনার ছ’ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত হয় এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে রেনুকাকে। তারপরই তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তদন্ত আরও এগোলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় তাদের।