শেষ আপডেট: 2nd August 2024 15:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তাঁর বর্তমান বয়স ৭৩ বছর! এক মহিলা দাবি করেছেন, বিগত ৩০ বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন এই ব্যক্তি। বম্বে হাইকোর্টে এই ইস্যুতে মামলাও করেন মহিলা। তবে এখন সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, মহিলা যে দাবি করেছেন তা সত্যি নয়। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।
১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে! এই এমনই অভিযোগ করে ২০১৮ সালে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন মহিলা। তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯৮৭ সালে ওই ব্যক্তির কোম্পানিতে তিনি চাকরিতে ঢোকেন। সেই সময় থেকেই নাকি তাঁকে যৌন হেনস্থা করতেন অভিযুক্ত। এরপর ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গার হোটেল, কটেজে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন মহিলা।
পুলিশকে তিনি এও জানান, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে তিনি যেহেতু বিবাহিত ছিলেন তাই তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবেই সম্পর্ক রাখতেন, কোনও দিন বাড়ি নিয়ে যাননি। তবে একটি 'মঙ্গলসূত্র' দিয়ে তাঁকে নিজের 'দ্বিতীয় স্ত্রী' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এমনই দাবি মহিলার। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগের কী যুক্তি দিয়েছেন তিনি?
মহিলার বক্তব্য, ১৯৯৬ সালে ওই ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় তিনিই কোম্পানির দায়িত্ব নেন এবং তাঁকেও দেখভাল করেন। এইভাবে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চলছিল। কিন্তু সেই বছর তাঁর নিজের মায়ের ক্যানসার ধরা পড়ায় কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগকারিণীর কথায়, ছুটির পর অফিস গিয়ে তিনি দেখেন সব বন্ধ। অভিযুক্তর বাড়ি গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আচমকা তাঁকে বিয়ে করতেও অস্বীকার করেন তিনি এবং ব্যক্তিগত কিছু নথিও তাঁকে ফেরত দিচ্ছিলেন না। এরপরই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন মহিলা।
গোটা ঘটনায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহিলা নাবালিকা ছিলেন না যখন তিনি অফিস জয়েন করেছিলেন। অর্থাৎ তিনি জানতেন যে, 'দ্বিতীয় স্ত্রী'র মানে কী। আর ওই ব্যক্তি কোনও দিনই তাঁর প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেবেন এমন কথা শোনা যায়নি। মহিলাও তাঁর অভিযোগপত্রে এমন কথা উল্লেখ করেননি। তাই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, দুজনের মধ্যে যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এত বছর ধরে তা দুজনের ইচ্ছাতেই। এটা কোনওভাবেই ধর্ষণ হতে পারে না।
আদালত এও প্রশ্ন তুলেছে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত যদি এমনটা হয়েও থাকে তাহলে এত বছরে তিনি কেন কোনও অভিযোগ করেননি? কেন চাকরি চলে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে অভিযোগ করলেন? ৩১ বছরের মাথায় এমন অভিযোগ করার কোনও অর্থ নেই বলেই মনে করছেন বিচারপতি।