শেষ আপডেট: 11th March 2025 14:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রায় এক মাস আগে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনায় এক নাবালকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৫ বছরের ওই কিশোরের মৃতদেহ (Death)। তবে এতদিন কেটে গেলেও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে এখন করা হল। আর গ্রেফতার হলেন নাবালকের মা (Mother Arrested)! তাঁর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ উঠেছে।
ধৃত মহিলার বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পায়নি পুলিশ। তবে সন্দেহের বশেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বাড়িতে মা এবং ছেলে ছাড়া কেউই ছিল না। এদিকে মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একমাত্র দোষী হতে পারে তার মা-ই। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সন্তান নিয়ে দম্পতি গুনায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। নাবালকের বাবা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কাজ করেন এবং তাঁকে প্রায়শই রাজ্যের বাইরে থাকতে হয়। কয়েক দিনের মধ্যে তাঁদের ভোপালে শিফট করার কথা ছিল। তার প্রস্তুতিই নিচ্ছিল পরিবার। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ঘটে যায় এই ঘটনা।
নাবালকের মা হাউসওয়াইফ। মহিলা প্রথমে দাবি করেছিলেন, ঘটনার দিন ছেলেকে পড়তে বসতে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। সন্ধে ৭টার পর বাড়ি এসে দেখেন সদর দরজা ভিতর থেকেই বন্ধ। ডাকাডাকি করে, বেল দিয়ে ছেলের সাড়া না পাওয়ায় তিনি বাড়ির মালিককে ডাকেন। তাঁর থেকে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে দরজা খুলে দেখেন বাথরুম ছেলের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তার গলায় ওড়না জড়ান।
পুলিশ প্রথমে এই দাবি মেনে নিয়েছিল। কিন্তু তদন্ত শুরু হওয়ার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের। তাঁরা দেখেন, ঘটনার দিন পরিচারিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে মা আর ছেলেই ছিল। সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, নাবালকের মা ৩.৪৮ মিনিটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং ফেরেন ৬.১৯-এ। এরপর রাত ৮টা নাগাদ লোক ডাকেন তিনি। এতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, নাবালকের মৃত্যুর সময়ে মহিলা বাড়িতেই ছিলেন এবং একা ছিলেন।
এই ফুটেজের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই মহিলাকে ছেলের খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, খুন করে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে সাজানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু কী কারণে এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছে না পুলিশ।