নির্মলা সীতারামন ও ডেরেক ও ব্রায়েন।
শেষ আপডেট: 25th August 2024 13:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা থেকে অবিলম্বে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে। নতুবা তিনি বাধ্য হবেন বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে।
এবার এবিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার ওপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসিয়েছে কেন্দ্র।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জিএসটি-র ৫৪তম সভা রয়েছে। চিঠিতে নির্মলার উদ্দেশে ডেরেক লিখেছেন, ওই বৈঠকে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করার জন্য সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চিঠিতে ডেরেক একথাও মনে করিয়ে দিযেছেন, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে জিএসটি কাউন্সিলে সরকারের প্রতিনিধিরা শক্তিশালী। যেকোনো রেজুলেশন পাস করতে হলে তিন-চতুর্থাংশ অর্থাৎ ৭৫% ভোটের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া, ২২টি রাজ্যে এনডিএ সরকারে রয়েছে। ফলে সংখ্যার বিচারে হয়তো সরকার এটি প্রত্যাহার নাও করতে পারে। তবে দেশের সাধারণ মানুুষের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করা উচিত।
প্রসঙ্গত, সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। তাঁরা বলছেন, সারা দেশে যেভাবে মানুষের চিকিৎসা খরচ বেড়েছে সেখানে জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমায় সরকারের ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো জনবিরোধী সিদ্ধান্তের নামান্তর। এর ফলে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া মানুষের কাছে আরও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।
এখানে উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি বসানো নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিজের আপত্তির কথা আগেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িও। অর্থাৎ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে জিএসটি বসানো নিয়ে বিজেপির অভ্যন্তরেও যে আপত্তি রয়েছে, তা স্পষ্ট। এখন দেখার, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন কিনা।