শেষ আপডেট: 20th July 2024 12:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠক একেবারে শেষ মুহূর্তে স্থগিত রাখা হল। আজ, শনিবার, ২০ এবং আগামিকাল, রবিবার, ২১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে এই বৈঠক বসার কথা ছিল। কিন্তু, একেবারে অন্তিম লগ্নে সেই আলোচনা পিছিয়ে দিল সঙ্ঘ নেতৃত্ব। সঙ্ঘ এবং বিজেপির এই শীর্ষস্তরের বৈঠকটি রাজনৈতিক দিক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও আরএসএসের সহ-সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমারের উপস্থিতিতে শেষপর্যন্ত আলোচনা হচ্ছে না।
এই বৈঠকের জন্য রাজ্য বিজেপি এবং বিজেপি সরকার ও সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে দুদিন লখনউতেই থাকতে বলা হয়েছিল। হঠাৎ করে সঙ্ঘ এই বৈঠক স্থগিত করায় রাজনীতি মহলে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। একাংশের মতে, সঙ্ঘের সচরাচর কার্যকলাপের মতো এই বৈঠকটি খুবই গোপনীয় ছিল, কিন্তু তা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগপুর নেতৃত্ব। সে কারণেই অন্তিম মুহূর্তে তা স্থগিত রাখা হল।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিজেপির অন্দর মহলে বনিবনা ভালো চলছে না। লোকমুখে জোর চর্চা চলছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের মন কষাকষি চলছে। বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার পিছনে কোনও ব্যাখ্যা না জানানো হলেও তিনটি কারণ আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথমত, যোগী-মৌর্যের আড়াআড়ির মধ্যে আরএসএস চাইছে না, তাদের চাপে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে যাক, কেননা এই দুইজনের মধ্যে ঠান্ডাযুদ্ধ অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই পরিস্থিতিতে সঙ্ঘ মনে করে, আলোচনার কোনও পরিবেশ থাকতে পারে। তৃতীয়ত এবং সবার উপরে হচ্ছে, এই বৈঠকের কথা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ায়।
সঙ্ঘ নেতা অরুণ কুমার এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য ও ব্রজেশ পাঠক এবং রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরিকে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু, সঙ্ঘ চায় না, সরকারের অভ্যন্তরীণ মামলার ভিতর দখল নিতে। এই বৈঠকের পর অভ্যন্তরীণ কোন্দল আপাতত ধামাচাপা দেওয়া গেলেও তাতে সঙ্ঘের মধ্যস্থতার কথা জনসমক্ষে উঠে আসত। সেই বিড়ম্বনা এড়াতে চেয়েছে আরএসএস। আদৌ এই ধরনের বৈঠক ভবিষ্যতে হবে কিনা, কবে হবে সেসব এখন 'রাম জানে'।