শেষ আপডেট: 13th March 2025 19:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ভাষা বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। সেই আবিহেই সম্প্রতি মুম্বইয়ে চর্চায় উঠে এসেছেন এক এয়ারটেল কর্মী (Airtel Employee)। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলাকর্মীকে নিয়ে করা একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যেখানে তিনি একজন গ্রাহকের সঙ্গে মারাঠি ভাষায় (Marathi Language) কথা বলতে অস্বীকার করেছেন।
ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একজন গ্রাহক মারাঠি ভাষায় কথা বললেও মহিলা কর্মী হিন্দিতে জবাব দিতে থাকেন। যা নিয়েই ঝামেলা র সূত্রপাত। গ্রাহকের বক্তব্য, মহারাষ্ট্রে কাজ করছেন, গ্রাহকদের সহায়তা দিচ্ছেন ওই এয়ারটেল কর্মী অথচ স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে অস্বীকার করছেন।
তাঁর অভিযোগের জবাবে মহিলাকর্মীর বক্তব্য, "আমি কেন মারাঠি ভাষায় কথা বলব? মহারাষ্ট্রে মারাঠি ভাষায় কথা বলতে হবে তা কোথায় লেখা আছে?" তিনি আরও বলেন, "মারাঠি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা হিন্দুস্তানে থাকি এবং যে কেউ যে কোনও ভাষায় কথা বলতে পারি।"
বস্তুত, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে মারাঠি রাজ্যের সরকারি ভাষা এবং মহারাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেকেরই এই ভাষা শেখা উচিত।
সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মারাঠি শুধুমাত্র একটি ভাষা নয় বরং রাজ্যের সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা সম্মান করা নাগরিকদের দায়িত্ব। তাই মহারাষ্ট্রে থাকতে হলে মারাঠি শিখতেই হবে।
যদিও, আরএসএস নেতা সুরেশ ভাইয়াজি যোশী মন্তব্য করেন, "সকলের জন্য মারাঠি জানা আবশ্যক নয়। মুম্বইতে কেবল একটি নয়, অনেক ভাষা রয়েছে। মুম্বাইয়ের প্রতিটি অংশের নিজস্ব ভাষা আছে। ঘাটকোপার এলাকার ভাষা গুজরাতি, তাই যদি কেউ মুম্বইতে থাকেন বা এখানে আসতে চান তাঁকে মারাঠি শেখার প্রয়োজন নেই।"
সম্প্রতি গ্রাহক ও এয়ারটেলকর্মীর ভাইরাল ভিডিও, সর্বোপরি 'ভাষাযুদ্ধ' যেন সেই বিতর্কেই ঘি ঢালল।