শেষ আপডেট: 6 May 2025 08:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহেলগামে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে টানাপড়েনের আবহে বেশ কিছু রাজ্যকে জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আগামী ৭ মে, অর্থাৎ বুধবার মহড়া চালাতে বলা হয়েছে সেই রাজ্যগুলিকে।
সরকারি সূত্রের দাবি, রাজস্থান, গুজরাত, পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সিমান্ত এলাকায় এই মহড়া চালানো হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে দেশের ২৪৪টি জেলায় এই মহড়া চলবে। মহড়া চলবে গ্রামীণ এলাকাতেও।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে যে বিষয়ে মহড়া দিতে বলেছে, তার মধ্যে রয়েছে— বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা, নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে সাধারণ মানুষ, বিশেষত পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে, হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কী ভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হবে।
এহেন নির্দেশিকার পরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি পাকিস্তানের উপর ভারতের প্রত্যাঘাত সময়ের অপেক্ষা? কেন ৭ মে দেশব্যাপী মক ড্রিলের নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক! যে বিষয়গুলি রাজ্যকে খতিয়ে দেখতেই হবে--
• বিমান হামলার সতর্কতা ব্যবস্থার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা
• ভারতীয় বিমান বাহিনীর সঙ্গে হটলাইন/রেডিও সংযোগের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা
• কন্ট্রোল রুম এবং শ্যাডো কন্ট্রোল রুমের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা
• প্রতিকূল আক্রমণের ক্ষেত্রে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সাধারণ নাগরিক, ছাত্রদের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষণ
• দুর্ঘটনায় ব্ল্যাকআউটের ব্যবস্থার ব্যবস্থা
• গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য ও জায়গাগুলির প্রাথমিকভাবে ছদ্মবেশে রাখা
• ওয়ার্ডেন পরিষেবা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, উদ্ধার অভিযান-সহ সামরিক প্রতিরক্ষা পরিষেবাগুলির সক্রিয়তা এবং কাজ যাচাই করা।
• দুর্ঘটনা ব্ল্যাকআউট ব্যবস্থার বাস্তবায়ন মূল্যায়ন করা
• পরিকল্পনা মাফিক নিজেদের সরিয়ে রাখা এবং তা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি মূল্যায়ন করা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নেবেন জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক, নাগরির সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডেরা। এ ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের।
প্রসঙ্গত, রোববার রাত ৯টা নাগাদ পাঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে সব আলো নিভিয়ে 'ব্ল্যাকআউট ড্রিল' করেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের আগে থেকেই এ নিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, তাঁরা যেন আলোকিত বা দূর থেকে চোখে পড়ে এমন কোনও বস্তু ব্যবহার না করেন ওই সময়টুকু।
সাধারণত যুদ্ধের সময় বিপক্ষের নজর এড়াতে বা বিপক্ষের বায়ুসেনাকে বিভ্রান্ত করতে বিস্তীর্ণ এলাকার আলো নিভিয়ে 'ব্ল্যাকআউট' করে দেওয়া হয়। এমনিতেই গত ২২ এপ্রিল থেকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।