শেষ আপডেট: 24 February 2025 04:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কংগ্রেস নেতা শশী তারুরের (Shashi Tharoor) সঙ্গে দলের বিরোধ দিন দিন বাড়ছে। এমনকী তিরুবনন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) কংগ্রেস সাংসদের দল ছাড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
তারুরের দলত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা নয়া মাত্রা পেয়েছে তাঁর নতুন মন্তব্য ঘিরে। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস ছাড়াও আমার কাছে রাজনীতি করার আরও বিকল্প আছে।
হালে তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা চারবারের কংগ্রেস সাংসদ কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাজকর্মের প্রশংসা করায়। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে নানা সময় কেরলের সিপিএম সরকারেরও প্রশংসা করেছেন এই কংগ্রেস নেতা।
শশীর সঙ্গে বহুদিন ধরেই কেরল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরোধ চলছে। শশীর বক্তব্য, নেতৃত্বের অপদার্থতার কারণেই কেরলে কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি। সিপিএম সরকার টানা দুটি মেয়াদ ক্ষমতা ধরে রেখেছে।
ক্ষমতায় ফিরতে দলকে কী করতে হবে? তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ এই ব্যাপারে নিজের হয়ে ব্যাটিং শুরু করেছেন। শশীর দাবি, কেরলে তিনিই কংগ্রেসের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নেতা। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলে দল সহজেই ক্ষমতায় ফিরতে পারে।
শশী এই কথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কেরলের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে বলেছেন। কিন্তু হাইকমান্ডের কাছ থেকে সাড়া পাননি। গান্ধী পরিবারের কাছে বরাবরই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কম। মনে করা হয় কেরল কংগ্রেসেও সেই কারণেই তিনি একঘরে। এই অবস্থায় ক্রমে বিদ্রোহী হচ্ছেন প্রবীণ সাংসদ।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির সঙ্গে কেরলেও আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভার ভোট হওয়ার কথা। এখন থেকেই ভোটের বাদি বাজতে শুরু করেছে। শনি ও রবিবার তিরুবনন্তপুরমে বড় করে বিনিয়োগ সম্মেলন করেছে সিপিএম সরকার। তাতে মোদী সরকারে দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পীযুষ গয়াল এবং সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি অংশ নেন। মোদীর মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানোয় সমালোচনায় মুখর হয়েছে কংগ্রেস। বাম-বিজেপি বোঝাপড়ার অভিযোগ করেছে হাত শিবির। উল্টো সুরে শশী রাজ্যকে বিনিয়োগ বান্ধব করার উদোগের প্রশংসা করেছেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শশী নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতেই শিল্প সম্মেলন নিয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছেন। উন্নয়ন নিয়েও তিনি ইতিবাচক কথা বলছেন। কেরলের উন্নয়নের রোডম্যাপও তৈরি করিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে কেরল কংগ্রেসের সভাপতি কে সুদর্শন ইঙ্গিত করেছেন, শশীর বিদ্রোহের পিছনে সিপিএমের হাত আছে। শশীর দাবিদাওয়া নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, যত বিরোধই থাক না কেন, আশাকরি শশী সিপিএমে যোগ দেবেন না।
এদিকে, সিপিএম নেতত্ব শশীর সঙ্গে দলের যোগাযোগের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির বক্তব্য, দিশেহারা কংগ্রেস ঘরোয়া সমস্যায় সিপিএমকে জড়াচ্ছে। তারা আরও বলেছে, সিপিএম দলত্যাগীদের আশ্রয় দেয় না।