শেষ আপডেট: 3rd January 2025 08:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কৃষকদের ন্যায্য দাবি বিবেচনা করার জন্য কেন প্রস্তুত নয় কেন্দ্র? কেনই বা তারা বলছে না যে, সরকার কৃষকদের অভিযোগ শুনতে প্রস্তুত? বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে আইনি নিশ্চয়তার দাবিতে কৃষকদের যে আন্দোলন চলছে, সে বিষয়ক একটি মামলায় এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে কৃষক আন্দোলন নিয়ে একটি নতুন আবেদনের শুনানির ভিত্তিতে কেন্দ্রকে উত্তর দিতে বলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং উজ্জ্বল ভূইঞার বেঞ্চ। আবেদনটি কৃষক নেতা জগজিত সিং ডালেওয়ালের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল।
২০২১ সালে কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর কৃষকদের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন দাবি করে এই আবেদন করা হয়। সেই কারণেই কৃষকেরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সীমান্তে আন্দোলন করছেন বর্তমানে। কৃষক নেতা জগজিত সিং ডালেওয়াল ২৬ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালীন অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বলে, 'আপনার ক্লায়েন্ট কেন একটি বিবৃতি দিতে পারে না, যে তারা কৃষকদের অভিযোগগুলি বিবেচনা করবে এবং তাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চায়?'
জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা বলেন, যে সরকার প্রতিটি কৃষককে নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করবে।
আবেদনকারীর আইনজীবী গুনিন্দর কউর গিল পাল্টা বলেন, ২০২১ সালেও সরকার একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং এই প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই কৃষকেরা তাদের আন্দোলন তুলে নিয়েছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, একই ইস্যুতে বারবার কমিটি গঠন করে কোনও সমাধান আসছে না।
বেঞ্চ জানায়, একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ আদালতের বিচারপতি। এই কমিটি কৃষি ও অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। কমিটির কাজ হবে কৃষকদের সমস্যা এবং দাবিগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।
তবে বাস্তবে এমনটা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। সেই কারণেই ফের আ্দোলন। আন্দোলনের প্রধান দাবি, এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।
কালকের শুনানিতে কেন্দ্র এবং কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তাদের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত উল্লেখ করেছে, যে কৃষকদের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি আদালতে আলোচনা সম্ভব নয়। এর জন্য কমিটিকে কাজে লাগানোর উপদেশ দেওয়া হয়েছে।