গোয়েন্দাদের সন্দেহ, তথ্য পাচার করার একটি চক্র এ দেশে তৈরি হয়েছে এবং তাতেই সক্রিয় সদস্য ছিলেন জ্যোতি।
জ্যোতি মলহোত্রা
শেষ আপডেট: 17 May 2025 18:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Pakistan Spy) অভিযোগে হরিয়ানার হিসার থেকে গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতি মলহোত্রা (Jyoti Malhotra) নামের এক ইউটিউবার (Youtuber)। ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত একবার নয়, দু'বার পাকিস্তানে (Pakistan) গেছিলেন তিনি। ওই সময় থেকেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করছেন জ্যোতি এমনই অভিযোগ। পুলিশি জেরায় এই অভিযোগের কথা স্বীকারও করেছেন জ্যোতি।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, তথ্য পাচার করার একটি চক্র এ দেশে তৈরি হয়েছে এবং তাতেই সক্রিয় সদস্য ছিলেন জ্যোতি। পাক গুপ্তচর সংস্থার একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের পর তিনি বালি এবং ইন্দোনেশিয়া গেছিলেন। দাবি, সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক পাক গুপ্তচরও। সেখানে ভারতের একাধিক তথ্য পাচার করেছেন জ্যোতি বলে সন্দেহ।
কে এই জ্যোতি মলহোত্রা
ট্রাভেল উইথ জো - নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল (Youtuber) রয়েছে জ্যোতির। নানা জায়গায় ঘুরে বেরিয়ে সেই চ্যানেলের মাধ্যমেই সবকিছু শেয়ার করতেন তিনি। এই চ্যানেলে তাঁর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার।
শুধু ইউটিউবে নয়, অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম 'ট্রাভেলউইথজো১' এবং তাতে জ্যোতির ফলোয়ার সংখ্যা ১ লক্ষ ৩২ হাজার।
তিনি আদতে ট্রাভেল কনটেন্ট ক্রিয়েটার বলেই পরিচয় দিয়ে আসেন। তাঁর ভিডিও দেখলে বোঝা যায়, বেশিরভাগ সময়ই তিনি বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন। বালি থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া, চিন। তবে সবথেকে বেশি তাঁর আগ্রহ ছিল পাকিস্তান নিয়েই। বার দুয়েক ভ্রমণের পাশাপাশি পাকিস্তান নিয়ে একাধিক ভিডিও করতেন জ্যোতি।
পুলিশি জেরায় জ্যোতি জানিয়েছেন, এহসান উর রহিম ওরফে দানিস নামে পাকিস্তান হাই কমিশনের এক আধিকারিকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। তাঁর সাহায্যেই ২০২৩ সালের পর দুবার পাকিস্তানে গেছিলেন তিনি। জ্যোতি বলেছেন, পাকিস্তান যাওয়ার জন্য ভিসার ব্যাপারে কথা বলতে দিল্লিতে পাক হাই কমিশনে গেছিলেন তিনি। তখনই তাঁর সঙ্গে দানিসের দেখা হয় এবং দুজনে কথা বলতে শুরু করেন। জ্যোতি জানিয়েছেন, দানিসই পাকিস্তানে তাঁর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন এবং এর জন্য আলি বলে অন্য একজনও সাহায্য করেছিল।
জেরায় জ্যোতি স্বীকার করেছেন, আলিই পাক ইন্টালিজেন্সের দুই আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের ফোন নম্বরও তিনি সেভ করেছিলেন তবে অন্য নামে, যাতে সন্দেহ না তৈরি হয়। ভারতে ফিরে আসার পর ওই অফিসারদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত সম্পর্ক রাখতেন হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাট সহ আরও একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় মারফৎ। এইভাবে দেশের নানা তথ্য তিনি পাচার করতেন বলে জেনেছে পুলিশ।