শেষ আপডেট: 16th January 2025 12:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিন্দি ছবির তারকা সইফ আলি খানের উপর হামলার তদন্তে তাঁর বাড়ির সামনে দেখা গেল মুম্বইয়ের বিখ্যাত এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দয়া নায়ককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক এনকাউন্টারের বাস্তবের 'নায়ক' দয়াকেই তদন্তভার দিয়েছে মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখা। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ স্নিফার ডগ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বৃহস্পতিবার সকালেই। ১২ তলায় থাকা সইফের আবাসনের নীচে এদিন সকালে দেখা যায় দয়াকে। তিনিই তদন্ত করে দেখেন বেশ কিছুক্ষণ ধরে।
ইতিমধ্যেই তদন্ত বিপত্তি ডেকে এনেছে একটি গুরুতর বিষয়। অনেকের ধারণা দুষ্কৃতীরা পাইপ বেয়ে উঠেছিল। কিন্তু ঘটনার ২ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সিসিটিভির কোনও ফুটেজে কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়নি। সিসিটিভির একটি ছবিতেও দুষ্কৃতীদের দেখা না যাওয়ায় নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেমন- পাইপ বেয়ে ১২ তলায় ওঠা সম্ভব কিনা! কিংবা রাতের আগে থেকেই কেউ ভিতরে ঢুকে বসেছিল কিনা। সইফের কাজের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এ ব্যাপারে। তবে দয়া নায়ক যে এদিন ওই বাড়িতে পৌঁছেছেন সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
কে এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট দয়া নায়ক?
নানা পাটেকর অভিনীত-পরিচালিত 'অবতক ছাপ্পান্ন' ছবির নেপথ্য নায়কের নাম দয়া নায়ক। যাঁকে গোটা দেশ চেনে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইনস্পেক্টর তথা এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট হিসেবে। সিনেমার জীবনের মতোই বাস্তবের নায়ক দয়া। কর্নাটকের এক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্ম তাঁর। জন্ম থেকে জীবনযুদ্ধের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়।
কন্নড় মাধ্যম স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পাশের পর তিনি ১৯৭৯ সালে মুম্বই চলে আসেন। সেখানে একটি হোটেলে টেবিল মোছার কাজ করে দিন গুজরান করতেন। তাঁর মধ্যে যোগ্যতা আছে দেখে হোটেল মালিক তাঁকে স্কুলে ভর্তি করে দেন। গ্র্যাজুয়েট হন দয়া। তার আগে তিনি কলের মিস্ত্রি হিসেবেও কাজ করতেন। মাসে রোজগার ছিল ৩০০০ টাকা।
১৯৯৫ সালে জুহু থানায় তিনি পুলিশে চাকরি পান। ওই বছরেরই ৩১ ডিসেম্বর তিনি দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের শাগরেদের মুখোমুখি হন। এবং প্রথম এনকাউন্টারেই দুজনকেই খতম করে দেন। গ্যাংস্টাররা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তিনিও জবাবে গুলি চালান। এরপর থেকে দয়া নায়ক প্রায় ৮৭টি এনকাউন্টার করেছেন। মুম্বইয়ের সবথেকে দাবাং পুলিশ অফিসারের খ্যাতি অর্জন করেন দয়া। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে দয়া নায়ক ছোটা রাজন গ্যাংকে একের পর এক খতম করে দেন।