Advertisement
কলমাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যা একত্ববাদের ধারণা প্রকাশ করে।
Advertisement
শেষ আপডেট: 24 April 2025 10:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহলগামে গুলি করে খুনের আগে অনেককে 'কলমা' পড়তে বলে জঙ্গিরা। কেউ পড়তে পারায় বেঁচে যান, আর কাউকে 'কলমা' না পড়তে পারায় গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যেতে হয়। জঙ্গিরা বন্দুক উঁচিয়ে ইসলামের প্রাথমিক জ্ঞান বা ধর্মবিশ্বাসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়। যাঁরা তা পড়তে পারেননি, তাঁদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
ইসলামে 'কালেমা' বা 'কলমা' বলতে মৌলিক বিশ্বাসের প্রকাশ বা ঘোষণা বোঝায়। এটি একটি আরবি শব্দ, যার মানে 'কথা' বা 'বাক্য। ইসলামে, কলমাগুলি হল ইসলামের প্রথম স্তম্ভ 'শাহাদা' বা বিশ্বাসের ঘোষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে, 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' যার অর্থ আল্লা ছাড়া কোনও সত্য উপাস্য নেই এই কলমাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যা একত্ববাদের ধারণা প্রকাশ করে।
ইসলামে কলমা বা কালেমা-এর গুরুত্ব
১। ইসলামের প্রথম স্তম্ভ: কালেমা হলো ইসলামের প্রথম স্তম্ভ শাহাদা বা বিশ্বাসের ঘোষণার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। একজন মুসলিম হিসেবে আল্লার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও ঘোষণা করা অপরিহার্য।
২। একত্ববাদ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কালেমাটি আল্লার একত্ববাদকে স্পষ্ট করে। এটি ঘোষণা করে যে, আল্লা ছাড়া আর কোনও উপাস্য নেই এবং তিনিই এক ও অদ্বিতীয়।
৩। নবি মহম্মদের প্রতি বিশ্বাস: মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ- কালেমাটি নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। এটি ঘোষণা করে যে, মহম্মদ (সাঃ) আল্লার প্রেরিত নবি।
৪। ইসলামের ভিত্তি: কালেমাগুলি ইসলামের মৌলিক ভিত্তি স্থাপন করে। এটি বিশ্বাস ও কর্মের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
৫। সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টি: কালেমাগুলো বিশ্বাস স্থাপন করে যে, আল্লা একজন সৃষ্টিকর্তা, তিনিই এই বিশ্বের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।
৬। নবির অনুসরণ: কালেমাগুলো মহম্মদের পথ অনুসরণ করার প্রতি উৎসাহিত করে। এতে বোঝানো হয় যে, ইসলামে যা কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা সবই আল্লার কাছ থেকে এবং নবি মহম্মদের মাধ্যমে এসেছে।
৭। শিরক থেকে দূরে থাকা: কলমা পাঠ করে মুসলিমরা শিরক বা আল্লার সঙ্গে অংশীদার স্থাপন করা থেকে দূরে থাকে। এটিও এক আল্লার প্রতি তাদের আনুগত্য ঘোষণা করে।
মূলত কলমা শুধু একটি শব্দ বা বাক্য নয়। বরং এটি একটি বিশ্বাস, যা একজন মুসলিমকে তার জীবন পরিচালিত করতে সাহায্য করে। আর এই কলমা পড়েই বেঁচে গিয়েছেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য।
Advertisement
Advertisement