শেষ আপডেট: 10th August 2024 11:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরে ডাক্তারি ছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার প্রভাব পড়ল অন্যান্য মেডিক্যালেও। কলকাতা মেডিক্যাল, ন্যাশানাল মেডিক্যাল, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, শিশুমঙ্গল-সহ রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসদের একাংশ।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ছাত্রী খুনের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি হাসপাতালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে চিকিৎসা পরিষেবায়।
নাম কা ওয়াস্তে জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও কর্মবিরতির জেরে সেখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের কেউই কাজে যোগ দেননি। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে এদিন সকাল থেকেই 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলও শুরু করেছেন পড়ুয়ারা।
মেদিনীপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজেও কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজিকরে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার সকাল থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভ। ফলে চরম সমস্যার মধ্যে রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।
তবে পুরুলিয়া, হাওড়া ও আরামবাগ মেডিক্যালে এখনও চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বেলা গড়ালে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যে আরজিকরে পৌঁছেছেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা্ বলে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, স্নাতকোত্তর স্তরে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবারও রাত ২টো পর্যন্ত হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডিউটি করেন। পরে কর্মরত আরও দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে পড়াশোনার জন্য সেমিনার হলে চলে যান ওই তরুণী। শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকেই দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যৌনাঙ্গ-সহ দেহের অন্তত ১০টি জায়গায় আঘাত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ঘটনায় খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও করা হয়েছে একজনকে।
তবে আন্দোলনকা্রী ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসকেদর সাফ কথা, "আমরা রাত জেগে রোগীদের জীবন রক্ষা করব, অথচ আমাদের নিজেদের জীবনের কোনও সুরক্ষা থাকবে না? আগে তা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই বিক্ষোভ প্রত্যাহার।"