ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 9 May 2025 14:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভূমি-আকাশ-জল, ভারতের ত্রিশক্তির ধারাবাহিক পাশে নাস্তানাবুদ পাকিস্তানের রক্ষণভাগ। পাশাপাশি অলআউট প্রতিরক্ষা আক্রমণে ভারতের বায়ু সুরক্ষার দুর্ভেদ্য দুর্গ ডিঙোতে পুরোপুরি ব্যর্থ ইসলামাবাদ বাহিনী। গত ৮ ও ৯ মে-র মধ্যবর্তী রাতে পাকবাহিনী একের পর এক ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্র হানা চালিয়ে গিয়েছে। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাক বাহিনী।
ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে প্রতিটি হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। সেনার আকাশপথ সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র প্রযুক্তি মোতায়েন করে সক্রিয় বদলা নিয়েছে। যেমন- এল ৭০ গানস, জেডইউ-২৩ এমএম সিস্টেমস, স্কিলকা সিস্টেম এবং ড্রোন খতম করার বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে উধমপুর, সাম্বা, জম্মু, আখনুর, নাগরোটা এবং পাঠানকোটে।
আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা বা Air Defence System কাকে বলে?
আকাশপথে শত্রুপক্ষের যে কোনও বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও হেলিকপ্টার ধ্বংসকারী ব্যবস্থাকে বলা হয় Air Defence System। এই সুরক্ষা ব্যবস্থায় বেশ কয়েকটি স্তরে শত্রুপক্ষের অস্ত্র বা হামলা বিনষ্ট করা হয়। যার মধ্যে রাডার সিস্টেম অর্থাৎ হানাদারি হতে চলেছে এ সংক্রান্ত তথ্য। কোথায় অবস্থান করছে শত্রুঅস্ত্র তার সুনির্দিষ্ট দিক নির্ণয় এবং মূল কাজ হল তা নিখুঁত নিশানায় এনে ধ্বংস করা।
এই সিস্টেমের মূল ও প্রাথমিক কাজ হল শক্তিশালী রাডার ব্যবস্থা। যা নিশানার মধ্যে চলে এলে শত্রুপক্ষের বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোনকে চিহ্নিত করে। এই একই ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয় নৌ বাহিনীতেও। রাডারের চোখে যেই মাত্র ধরা পড়ে কোনও হানাদারির সম্ভাবনার তখনই সজাগ হয়ে ওঠে ভূমি থেকে আকাশপথে হামলার ক্ষেপণাস্ত্র। চিরাচরিত যুদ্ধে রাডারে ধরা পড়া অস্ত্র বা হামলার দিকে তাক করা হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি বিভিন্ন পাল্লার হয়ে থাকে, যেমন স্বল্প, মাঝারি ও দূরপাল্লার। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে গাইডেড বা অব্যর্থ নিশানাভেদী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে। এতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রকে নিশানা বেঁধে দিলে তা শত্রুপক্ষের বিমান, কপ্টার, ড্রোন যাই হোক না কেন তাকে ধাওয়া করতে থাকে।
এছাড়া রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা বা Mobile Air Defence System। যা ফরোয়ার্ড পোস্টে যাত্রাকারী সেনাদলের সঙ্গে থাকে। এটি অত্যন্ত সহজ, গাড়িতে করে টেনে নিয়ে যাওয়ায় সক্ষম কামান। এতে নিজস্ব রাডার ব্যবস্থা থাকে। ক্ষেপণাস্ত্র ও চালানোর সিস্টেম যুক্ত এর প্রযুক্তি।
ভারতের Air Defence System অস্ত্রপাতি
ভারতীয় বাহিনীর কাছে বহুস্তরীয় Air Defence System রয়েছে। যার মধ্যে রুশ, ইজরায়েলি ছাড়াও দেশীয় প্রযুক্তি কৌশলে তৈরি আকাশ রয়েছে। যেগুলি পাকিস্তানি বকলমে চিনের ব্যবস্থার থেকে অনেক বেশি কার্যকরী। যেমন- এস-৪০০ হল ৩৮০ কিমি পাল্লার। ২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার সঙ্গে এক অস্ত্রচুক্তিতে ৪০,০০০ কোটি টাকায় হাতে পেয়েছিল ভারত।
বারাক-৮এমআর-সারফেস টু এয়ার মিসাইল হল ৭০ কিমি পাল্লার। ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ প্রকল্পে তৈরি হয়েছে ৩০,০০০ কোটি টাকায়। ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীতে প্রচুর সংখ্যায় আনা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ হল ২৫ কিমি পাল্লার। ভারতীয় বিমান বাহিনী ও সেনার কাছে এটা রয়েছে। স্পাইডারের পাল্লা ১৫ কিমির। ইজরায়েলের কমা গোছের দ্রুত সাড়া দেওয়া বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।