দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যকে নিশানা করেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার রাতেও ড্রোন এবং মিসাইল হামলার (Missile Attack) পরিকল্পনা করেছিল তারা। কিন্তু ভারত (India) শুধু সেই ছক ব্যর্থই করেনি, পাল্টা হামলা করে পাকিস্তানের অধিকাংশ জায়গা তছনছ করেছে। আর এরপরই পড়শি দেশকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। 

জম্মু-কাশ্মীর থেকে শুরু করে গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হামলার ছক করেছিল পাকিস্তান। ড্রোনের সাহায্যে মিসাইল লঞ্চ করেছিল তারা। কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কাছে সেগুলি নাস্তানাবুদ হয়। কোনও মিসাইল ভারতের মাটি ছোঁয়া তো দূর, মাটির ৫০০ মিটারের মধ্যেও আসতে পারেনি। পাকিস্তানের সেই হামলার চেষ্টা প্রতিরোধ করার পরই ভারতের কড়া হুঙ্কার, 'আমাদের আকাশ, আমরা নিয়ন্ত্রণ করি...' 

'অপারেশন সিঁদুর' সফল হওয়ার পরই পাকিস্তান সীমান্তে আক্রমণ করার গতি বাড়িয়েছে। লাগাতার গুলিবর্ষণ করে ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয়কে মেরেছে পাক সেনা। জওয়ানও শহিদ হয়েছেন। তবে পিছিয়ে নেই ভারতীয় সেনাও। পাল্টা হামলায় ৭ পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিকে খতম করেছে তাঁরা। একই সঙ্গে, একাধিক পাক সেনাও ভারতের হামলায় কুপোকাত হয়েছে। এরপরই কার্যত দু'দফায় ড্রোন হামলা করার পরিকল্পনা করে পাকিস্তান। সেটাও ভারতের এয়ার ডিফেন্সের দ্বারা ব্যর্থ হয়। 

আসলে ভারতের কাছে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে। যার মধ্যে রুশ, ইজরায়েলি ছাড়াও দেশীয় প্রযুক্তি কৌশলে তৈরি আকাশ রয়েছে। যেমন- এস-৪০০ হল ৩৮০ কিমি পাল্লার। ২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার সঙ্গে এক অস্ত্রচুক্তিতে ৪০,০০০ কোটি টাকায় হাতে পেয়েছিল ভারত।

বারাক-৮এমআর-সারফেস টু এয়ার মিসাইল হল ৭০ কিমি পাল্লার। ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ প্রকল্পে তৈরি হয়েছে ৩০,০০০ কোটি টাকায়। ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীতে প্রচুর সংখ্যায় আনা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ হল ২৫ কিমি পাল্লার। ভারতীয় বিমান বাহিনী ও সেনার কাছে এটা রয়েছে। স্পাইডারের পাল্লা ১৫ কিমির। ইজরায়েলের কমা গোছের দ্রুত সাড়া দেওয়া বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। 

সুতরাং, বোঝাই যায় ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সামনে পাকিস্তানের ড্রোন, মিসাইল বা অন্যান্য চিন নির্মিত অস্ত্র আদতে কাজে লাগারই নয়। তাই যা হওয়ার, সেটাই হয়েছে।