১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামের এক সাঁওতাল পরিবারে জন্ম দ্রৌপদীর।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 20 June 2025 04:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর জন্মদিন (Droupadi Murmu)। সেই উপলক্ষ্যে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি তাঁর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhisekh Banerjee)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ''দীর্ঘদিন ধরে তিনি যে ধৈর্য, দৃঢ়তা আর শালীনতার সঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ পদকে মর্যাদা দিয়ে চলেছেন, তা নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়। রাষ্ট্রপতির জন্মদিনে প্রার্থনা - সুস্থতা, শান্তি ও সাফল্যে ভরে উঠুক তাঁর জীবন। দেশসেবায় তাঁর নিষ্ঠা আমাদের পথ দেখাক আরও অনেকদিন।''
My warmest wishes to Hon'ble President of India, Smt. Droupadi Murmu on her birthday.
May she be blessed with a long life, good health, and profound happiness as she continues to serve the nation with grace and dedication.— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 20, 2025
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ''জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন। আগামী দিনে তাঁর যে কোনও কাজ সাফল্য পাক।''
এক ঝলকে দ্রৌপদী মুর্মু
১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামের এক সাঁওতাল পরিবারে জন্ম দ্রৌপদীর। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দফতরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টার সাম্মানিক শিক্ষক ছিলেন।
শিক্ষিকা হিসেবে কয়েক বছর চাকরি করার পরে কাউন্সিলর হিসেবে শুরু করেন রাজনৈতিক জীবন। পরবর্তী কালে রায়রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন তিনি। ২০০০ এবং ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন রায়রংপুর বিধানসভা থেকেই। বিজু জনতা দল তথা নবীন পট্টনায়েকের সরকারের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পান। একাধিক দফতর দেখতেন তিনি।
পাশাপাশি, বিজেপির তফসিলি উপজাতি মোর্চার ভাইস-প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে ওড়িশার সেরা বিধায়ক হিসাবে ‘নীলকণ্ঠ পুরস্কার’ পান দ্রৌপদী। ২০০৯ সালে বিজেডির সঙ্গে বিজেপির জোট ছিন্ন হয়ে গেলেও মুর্মু বিধানসভা ভোটে জিতে যান।
২০১৫ সালে তিনি ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেই ২০২১ সাল পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন আদিবাসী নেত্রী। তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল, যিনি পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন।
এর আগে ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছিল দ্রৌপদীর নাম। তবে সেবার তিনি দায়িত্ব পাননি। কিন্তু ২০২২ সালে তিনি ইতিহাস রচনা করেন।