শেষ আপডেট: 5th January 2025 15:05
'মৃত্যুর উপত্যকা' নামে পরিচিত বিপজ্জনক গভীর খাদটি অতিক্রম করার ঝুঁকি মারাত্মক। তাই সুরত একদিক থেকে অন্যদিকে যাওয়ার সময় দড়িটি বেশ কয়েকজন ধরে রাখেন। সেই সময় ফস্কে গেলেই চরম পরিণতির আশঙ্কা। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, নীচে পড়লেও যাতে মৃত্যু এড়ানো যায় তাই ওই ব্যক্তির শরীরজুড়ে তুলো মুড়ে দেওয়া হয়েছে। দড়ির নীচে জালও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে (Rope Sliding)। আর ওই ব্যক্তি দড়ি ধরে ক্রমশ এগোনোর চেষ্টা করছেন।
#HimachalPradesh: रोहड़ू के दलगांव में चालीस साल बाद बेड़ा सूरत राम ने जब सफेद कफन बांधकर पवित्र घास से बनी रस्सी पर बैठकर आस्था के सैलाब को साक्षी रख खाई को देवता बकरालू के आशीर्वाद से एक से दूसरे छोर तक सकुशल पार किया, सबकी साँसें कुछ देर के लिए थम गई। कुछ देर के लिए शोक छा गया pic.twitter.com/yTXyyclVCx
— Teena Thakur (@shimlathakur) January 4, 2025
এই রোপ, যা ‘মুঞ্জি’ নামে পরিচিত, পবিত্রতা এবং আধ্যাত্মিকতা মেনে তৈরি করা হয়। কঠোর নীরবতা এবং ব্রহ্মচর্যের বিধি মেনে এই মুঞ্জি তৈরি করা হয়। মুঞ্জিকে আরও মসৃণ করার জন্য তেলের মধ্যে এটি ভিজিয়ে রাখা হয়। সুরত রাম এবং তাঁর চার সহযোগী মিলে প্রায় আড়াই মাস ধরে এই রোপ তৈরি করেন।
দলগাঁও গ্রামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। শিমলার রোহরু উপবিভাগের এই দূরবর্তী গ্রামে ভগবানের পালকিতে সজ্জিত মূর্তি নিয়ে ঢাক-ঢোলের তালে তালে শোভাযাত্রা করা হয়। এই অনুষ্ঠান ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
এই রীতি শেষবার সম্পন্ন হয়েছিল ১৯৮৫ সালে, তখন সুরত রামের বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। হিমাচলের মানুষের আধ্যাত্মিক বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক এই রীতি। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললেও এই অঞ্চলের মানুষ প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রাখতে একনিষ্ঠ।