শেষ আপডেট: 25th September 2024 10:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মন্দিরের নিয়ন্ত্রণ সরকার ছেড়ে দিক। সেগুলির পরিচালনার ভার দেশবাসীর হাতে দেওয়ার দাবি তুলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সাধুসম্তদের সংগঠন বিশ্বহিন্দু পরিষদ। তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদে অনিয়মের ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভিএইচপি দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, সরকারের হাতে পরিচালনার ভার থাকাতেই প্রসাদের পবিত্রতা নিয়ে হেলাফেলা করা হয়েছে। ভক্তরা সাধুসন্তদের পরামর্শ মেনে মন্দির পরিচালনা করলে এই অনাচার বন্ধ হবে।
ভারতে একাধিক রাজ্যে হিন্দু মন্দির পরিচালনার জন্য সরকারি আইন আছে। দেশের প্রধান প্রধান হিন্দু মন্দির যেখানে বছরে লাখ লাখ পূণ্যার্থী যান সেগুলি সবই সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে জমা হওয়া দানের টাকার সিংহভাহ সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে থাকে। তিরুপতি বিতর্ক সামনে আসার পর তামিলনাড়ু সরকার জানিয়েছে, গত দশ বছরে রাজ্যে সরকারের পরিচালনাধীন মন্দিরগুলিতে ৫০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে।
বিশ্বহিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন সংগঠনের পক্ষে জানিয়েছেন মন্দিরের উপর থেকে সরকারকে সরে যাওয়ার দাবি নিয়ে তারা দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য, সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের কোনও ধর্ম হয় না। তাহলে কোন অধিকারে সরকার মন্দির পরিচালনা করে? সংবিধানের ২৫ ও ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে নাগরিকদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অধিকার আছে শুধু সংখ্যালঘুদের। ভিএইচপি এই বৈষম্যের অবসান চায়।
জৈন বলেন, সরকারের মন্দির পরিচালনার সিদ্ধান্তের মধ্যে দখলদার মুসলিম ও ব্রিটিশ সরকারের ছায়া আছে। মুসলিম সম্রাটেরা মন্দির ভেঙেছেন। ব্রিটিশরা সে পথে না হেঁটে আইনি রাস্তায় মন্দির পরিচালনার ক্ষমতা সরকারের হাতে নিয়েছিল। স্বাধীনতার পরও সেই ধারা বজায় রাখা হয়েছে। ভিএইচপি এই ব্যবস্থার অবসান চায়। উপাসনালয়ের সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না।