শেষ আপডেট: 24 December 2023 04:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৫ অগস্টের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হল ২২ জানুয়ারি। এমনটাই বলেছেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের সহ-সভাপতি চম্পত রাই। তিনিই অযোধ্যার রামজন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রে ট্রাস্টের সম্পাদক। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় নতুন রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় নতুন বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এক মাসের মাথায় মন্দির উদ্বোধন করেই লোকসভার প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই বিজেপি সূত্রের খবর। রাম মন্দির হবে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার।
মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভিএইচপি নেতা রাই বলেছেন, “২২ জানুয়ারি দিনটি ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর দিনটিকেও এই তালিকায় যুক্ত করেছেন। ওই দিন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। ঢাকায় আত্মসমর্পণ করে পাক সেনা বাহিনী। রাই তুলনা টেনেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্গিল যুদ্ধ বিজয়ের সঙ্গেও।
চম্পত রাই প্রথম থেকেই রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বহু বছর বিশ্বহিন্দু পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ ও তাদের অনুগামীরা রাম মন্দির আন্দোলনের গোড়া থেকেই অযোধ্যার বাবরি মসজিদকে দাসত্বের নজির বলে প্রচার করে আসছিল। উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সেই মসজিদ ভেঙে ফেলার পর সুপ্রিম কোর্ট মামলাকারীদের দাবি মেনে বিতর্কিত জমি রামের জন্মস্থান বলে মেনে নিয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয়।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন স্বাধীনতার মাস অগস্টে। ২০২০-র ৫ অগস্ট করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অযোধ্যায় মন্দিরের শিলান্যাস করেন তিনি। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯-র ৫ অগস্টই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী সরকার তিন তালাক বিরোধী আইনও চালু করে অগস্টেই।
এবার প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রজাতন্ত্র দিবসের চারদিন আগে। প্রতি বছর ওই সময় দেশজুড়ে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের প্রস্তুতি চলে। এবার অনেকের নজর থাকবে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিকেও।