এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সকলে কুকুরটির মালিকের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
শেষ আপডেট: 6 July 2025 14:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হরিয়ানার ফরিদাবাদে ঘটা এক পশু নির্যাতনের এক ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। রাস্তার মাঝে পোষা কুকুরকে গাড়ি থেকে ফেলে রেখে চলে যায় মালিক, আর অসহায় কুকুরটি প্রায় ২ কিলোমিটার ধরে গাড়ির পেছনে দৌড়তে থাকে। গোটা ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। সেটাই পরে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটি প্রথম শেয়ার করা হয় "@TheViditsharma" নামের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। ওই পোস্টে দাবি করা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে কিউআরজি হাসপাতালের কাছে, দুপুর ১২:৩০ নাগাদ।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি ধূসর রঙের গাড়ি রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আর তার পেছনে প্রাণপণ দৌঁড়াচ্ছে এক পোষা কুকুর, যাকে কিছুক্ষণ আগেই সেই গাড়ি থেকেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিৎকার করতে করতে প্রাণপণে দৌড়চ্ছে সে।
ভিডিওতে স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে, এক মহিলা বলছেন দুই কিলোমিটার ধরে দৌঁড়াচ্ছে কুকুরটা, তবু গাড়ি থামছে না। কুকুরটা রাস্তার মধ্যে ছুটে যাচ্ছে আর চিৎকার করছে, কিন্তু মালিকের কোনও দয়ামায়া নেই।
Heartbreaking 💔
Today at 12:30 PM, in front of QRG Hospital, Faridabad, someone heartlessly abandoned their dog on the road. The car number is HR51 CF 2308.
This is blatant animal cruelty. That poor dog is now at risk of being killed by traffic or attacked by other dogs.… pic.twitter.com/a4STzIzFiK— Vidit Sharma 🇮🇳 (@TheViditsharma) July 5, 2025
এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অনেকেই একে “নিষ্ঠুর” ও “বিপজ্জনক” বলে অভিহিত করেছেন। সকলে কুকুরটির মালিকের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন। ব্যস্ত রাস্তায় এক অসহায় প্রাণীকে ফেলে দিয়ে চলে যাওয়া মানে তাকে গাড়ি চাপা পড়া বা বেওয়ারিশ পশুদের আক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া।
একজন মন্তব্য করেছেন, "মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় কী করে? এটা তো ছোট একটা শিশুকে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার মতোই। এখন সে একা পৃথিবীর সব কিছু সামলাবে?” আরেকজন লিখেছেন, "মানবিকতা এখন মৃত।"
দেশজুড়ে পশুপ্রেমীরা এই ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। অনেকেই অনুরোধ করছেন, যদি কেউ গাড়ির চালকের সম্পর্কে কিছু জানেন, তাহলে যেন সামনে আসেন। তাঁদের মতে, “এই ধরনের অমানবিক আচরণের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। নয়তো এই প্রবণতা থামবে না।”