শেষ আপডেট: 18th October 2024 17:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। শুক্রবার তিনি বলেন, পড়শি দেশে হিন্দুরা আক্রান্ত দেখেও তথাকথিত নীতিশিক্ষকরা কেমন মূক-বধির হয়ে আছে। নয়াদিল্লিতে আয়োজিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন ধনখড়।
ধনখড় বলেন, ওরা হল ভাড়াটে সৈনিক। যা মানবাধিকারের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরাও তেমন সহনশক্তিসম্পন্ন। এতটা সহ্যশক্তি বা সহ্য করে যাওয়া ঠিক নয়। একবার ভেবে দেখুন ওখানে যেভাবে উৎপাত চলছে, তার শিকার যদি আপনি হতেন, প্রশ্ন তোলেন উপরাষ্ট্রপতি।
একবার তাকিয়ে দেখুন কী বর্বরতা, অত্যাচার, আতঙ্কের মধ্যে কাটাতে হয়েছে ছেলে, মেয়ে এবং মহিলাদের। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেখুন আমাদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান, মন্দিরগুলিকেও কীভাবে অপবিত্র করা হয়েছে। ধনখড় এত কথা বললেও কোনও দেশের নাম অবশ্য করেননি। তবে তাঁর ইঙ্গিত যে শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের দিকে ছিল তা বোঝাই যায়।
তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানেও সংখ্যালঘু হিন্দু-খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচারের মাত্রা কম নয়। একটি সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু ও খ্রিস্টান মহিলা ও শিশুদের উপর শোষণ ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে থাকতে হয়। অপহরণ, জোর করে ধর্মান্তরণ, ধর্ষণ এবং জবরদস্তি বয়স্কদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
ভাষণে ধনখড় বলেন, এ বিষয়ে এমন কিছু অশুভ শক্তি রয়েছে, যেগুলি সঙ্ঘবদ্ধভাবে আমাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে। তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু, ভারত কখনও মানবাধিকার নিয়ে কাউকে ভাষণ দেয় না, শিক্ষা দেওয়ার দায় তুলে নেয় না। ধনখড়ের কথায়, দেশভাগ, জরুরি অবস্থা জারি এবং ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা হল সেইসব আতঙ্কের ঘটনা, যা স্বাধীনতার ভঙ্গুর দশাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার অত্যন্ত প্রকৃষ্ট উদাহরণ।