শেষ আপডেট: 10th September 2024 09:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাশী অর্থাৎ বারাণসীর জ্ঞানবাপি এবং মথুরার শাহী ঈদগা মসজিদ নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। দুই জায়গাতেই হিন্দুপক্ষ দাবি করেছে মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছে ওই দুই মসজিদ। আদালতে তারা আরজি পেশ করেছে মন্দিরের জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
এই বিবাদ নিয়ে মামলা যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন তখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দিল্লিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের ডেকে আইনি লড়াই নিয়ে তাঁদের মতামত শুনল।
দিল্লিতে এক ঘরোয়া বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট এবং দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিচারকদের বৈঠকে ডেকেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আইন সেল। সেখানে সংসদে পেশ হওয়া ওয়াকফ বিল নিয়েও কথা হয়।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি অলোক কুমার বলেছেন, এই প্রথম তাঁরা সংগঠনের বাইরের আইনজ্ঞদের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করলেন। বৈঠকে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালও উপস্থিত ছিলেন।
ভিএইচপি'র এই বৈঠক নিয়ে নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন চলতি আইনি লড়াইয়ের কৌশল বদল করার কথা ভাবছে এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
প্রসঙ্গত অযোধ্যার রাম জন্মভূমি পুনরুদ্ধারের আন্দোলন প্রথম শুরু করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদই। সেই মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যার তৈরি হয়েছে রাম মন্দির।
কিন্তু বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান বিবাদ অযোধ্যার থেকে আলাদা।৷ দু জায়গাতেই মুসলিম পক্ষের হাতে কিছু নথিপত্র রয়েছে যা দেখিয়ে তারা আদালতে দাবি করছে মসজিদের জমি নিয়ে কোন বিবাদ নেই।
মনে করা হচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মামলার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের বৈঠকে ডেকেছিল। অনেকদিন ধরেই একটি প্রস্তাব সংগঠনের মধ্যে আলোচনায় আছে তা হল যাবতীয় মন্দির-মসজিদ বিবাদের সমাধানে একটি সর্বভারতীয় কমিশন গঠন করা হোক। সেখানেই দুপক্ষ তাদের বক্তব্য পেশ করুক।
আরএসএসের একাংশ এই মতের পক্ষে সংগঠনে বহুদিন ধরে সরব। তাদের বক্তব্য অযোধ্যা বিতর্কের মত দেশের সর্বত্র মন্দির মসজিদ নিয়ে বিবাদ চলতে থাকলে তার পরিণতি ভাল হবে না। বরং আইনি লড়াই চলতে থাকলে সামাজিক বিভেদ তীব্র আকার নেবে।
দিল্লির বৈঠকের বিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নিজে থেকে কোন কিছু সংবাদ মাধ্যমকে জানায়নি। তবে প্রশ্নের জবাবে নেতারা বলেছেন, আইনি লড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে পরামর্শ শোনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত বারাণসী এবং মথুরায় যথাক্রমে জ্ঞান বাপি এবং শাহী মসজিদ সরিয়ে নিতে হিন্দুদের মামলা নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট হয়ে এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। তিন স্তরের আদালতই মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সাই দিয়েছে। মুসলিম পক্ষ গোড়াতেই মামলা খারিজের আরজি জানিয়েছিল। আদালত সেই আর্জি শোনেনি।