শেষ আপডেট: 10th March 2025 11:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতে প্রত্যর্পণের হাত এড়াতে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র ভানুআটুর নাগরিকত্বের আবেদন করেছিলেন ললিত মোদী। কিন্তু সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জোথাম নাপাট সপাটে বাতিল করে দিলেন ভারত থেকে ফেরার ব্যবসায়ী ললিত মোদীর সেই নাগরিকত্বের আবেদন। ওদেশের আইন অনুযায়ী ১ কোটি ৩০ লক্ষ দিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। যদিও প্রধানমন্ত্রী নাগরিকত্ব কমিশনকে আইপিএলের প্রতিষ্ঠাতা-ব্যবসায়ী ললিতের পাসপোর্ট বাতিল করার নির্দেশ দেন। ললিতের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নাপাট জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের সতর্কতা থাকার কারণে ভারত নাগরিকত্ব না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়াও নাগরিকত্ব পাওয়ার মতো যথাযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ললিত মোদীর নেই।
এক বিবৃতিতে নাপাট বলেছেন, নাগরিকত্ব কমিশনকে আমি নির্দেশ দিয়েছি যে, এই মুহূর্তে ভানুআটুর পাসপোর্ট বাতিল করতে। ললিত মোদীর মতো দেশছাড়া পলাতককে তাঁর দেশ নাগরিকত্ব দিতে চায় না। উনি প্রত্যর্পণের আইন থেকে বাঁচতে নাগরিকত্ব নিতে চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ভানুআটুর নাগরিকত্ব পাওয়া একটি সম্মানের বিষয়। কিন্তু অধিকার নয়। আবেদনকারীকে জানাতে হয় কেন তিনি এদেশের নাগরিকত্ব নিতে চান। তার জন্য যুক্তিপূর্ণ তথ্য দিতে হয়।
অথচ ললিত মোদীর আবেদন স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তিনি এই ধরনের কোনও কারণ সঠিক দেখাতে পারেননি। উপরন্তু সাম্প্রতিক বাস্তব বলছে তিনি কী উদ্দেশ্যে এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ললিত মোদী এর আগে বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সহ সভাপতি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেটিং চক্র, অর্থ তছরুপ, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।
আইনের হাত এড়াতে ২০১০ সালে ভারত ছেড়ে পালান ললিত মোদী। সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউজিল্যান্ডে কর্মরত ভারতীয় হাইকমিশনার নীতা ভূষণ ও দ্বীপরাষ্ট্রের আরও কয়েকজনের সহায়তায় ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাতিল করানো হয়েছে।