শেষ আপডেট: 7th February 2024 19:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কথায় বলে, যিনি রাম, তিনিই কৃষ্ণ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বোঝাতে চাইলেন ব্যাপারটা তেমন নয়। রাম যখন আলাদা ঘর পেয়েছেন, কৃষ্ণেরও আলাদা ঘর পাওয়া উচিত। দীর্ঘ টানাপড়েনের অবসান ঘটেছে গত ২২ জানুয়ারি। অযোধ্যায় ফিরে এসেছেন রামলালা। তবে 'মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে' স্লোগান তোলা বিজেপির নেতারা কিন্তু এখনও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি। আর সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথায়। তাঁর মুখে শোনা গেল মথুরা, কাশীর নাম। অনেকের ধারণা, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি এবার কৃষ্ণ জন্মভূমি জমি বিতর্ক নিয়ে আরও নড়েচড়ে বসবে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হয়েছে। কিন্তু যোগী বুধবার বলেন, তাঁরা একসঙ্গে কাশী, মথুরাও চেয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা হয়নি। যদিও হাল ছাড়ার যে প্রশ্ন নেই তাও নিশ্চিত করে দেন যোগী। তাঁর কথায়, ''অযোধ্যার উৎসব দেখেছেন কৃষ্ণ। তিনি যেমন খুশি হয়েছেন তেমনই অস্থির হয়ে উঠেছেন। রাম নিজের ঘরে ফিরে এসেছেন, এখন কৃষ্ণও ফিরতে চাইছেন।'' অযোধ্যা নিয়ে তাঁরা যেভাবে সাফল্য পেয়েছেন, কাশী-মথুরা নিয়েও পাবেন। এমনই আশা যোগীর।
মহাভারতের প্রসঙ্গ টেনে আদিত্যনাথ এও বলেন, ''কৃষ্ণ কৌরবদের কাছে গিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু তারা সেটা গ্রাহ্য করেনি। দুর্যোধন তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। একই জিনিস হয়েছে অযোধ্যা, মথুরা এবং কাশীর সঙ্গে। দুর্যোধন পাঁচটি গ্রাম দিতে চাননি কৃষ্ণকে। আর আমরা তিনটি জায়গা পাচ্ছিলাম না। এখন অযোধ্যায় রামলালা ফিরে এসেছেন, বাকি দুই জায়গার সমস্যাও সমাধান হবে।''
উল্লেখ্য, মথুরার মামলায় দাবি করা হয়, শাহী ঈদগা মসজিদে হিন্দু মন্দিরের নিদর্শন রয়েছে। সেই অংশ হিন্দুদের ফিরিয়ে দিক আদালত। দাবি করা হয়েছে, মসজিদের ১৩ একর জমিই শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি। সেখানেই ছিল মূল মন্দির।
অযোধ্যা মামলার রায়ের পরই বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছিল, ওই রায়কে হাতিয়ার করে হিন্দু পক্ষ এরপর অন্যত্র হিন্দু মন্দির, দেবস্থান পুনরুদ্ধারের দাবি তুলতে শুরু করবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মসূচির মধ্যেও তা আছে। বস্তুত সেই কারণে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তারা নয়া স্লোগান আমদানি করে, 'ইয়ে তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী, মথুরা বাকি হ্যায়।'