শেষ আপডেট: 29th November 2023 07:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টানা ১৭ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে পৃথিবীর আলো দেখেছেন ৪১ জন শ্রমিক। মঙ্গলবার রাতে একে একে সুড়ঙ্গ থেকে মুক্তি পেয়েছেন তাঁরা। উদ্ধারকাজের সময় একাধিকবার ছুটে গিয়েছেন তিনি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রমিকদের অন্ধকূপ থেকে বের করতে আনতে তদারকিও করেছেন। মঙ্গলবার সাফল্যের আগে উদ্ধারপর্বের শেষ পর্যায়েও সিল্কিয়ারা টানেলে পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। আর শ্রমিকেরা উদ্ধার হতেই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করল উত্তরাখণ্ড সরকার।
প্রায় ৪০০ ঘণ্টার উৎকণ্ঠার পর মিলেছে স্বস্তির নি:শ্বাস। সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ৪১ জন শ্রমিককে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। খুশির জোয়ারে ভাসছে শ্রমিকদের পরিবার। মঙ্গলবার উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর শ্রমিকদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেক শ্রমিককে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে শ্রমিকদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচও উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে দেওয়া হবে বলে সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
টানেল থেকে শ্রমিকদের বাইরে আনার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিংয়ের সঙ্গে এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পুষ্কর। বাইরে আসার পর শ্রমিকদের স্বাগতও জানান তিনি। প্রত্যেককে পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এদিকে ততক্ষণে ৪১ জন শ্রমিকের জন্য বাইরে অপেক্ষা করছে অ্যাম্বুলেন্স। অপেক্ষা করছেন চিকিৎসক, নার্সেরা। বাইরে আসার পরেই সোজা তাঁদের নিয়ে চলে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সফলভাবে গোটা অভিযান শেষ হওয়ায় গোটা উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুষ্কর। একইসঙ্গে তাঁর মুখে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথাও। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সবসময়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সকলকে যাতে নিরাপদে উদ্ধার করা যায় আমার উপর সেই দায়িত্ব দিয়েছিলে।”
গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে। ভিতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। এত দিন ধরে তাঁদের বার করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না কিছুতেই। খোঁড়ার সময়ে গত শুক্রবার বাধা আসে। ধ্বংসস্তূপের ভিতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায় আমেরিকায় তৈরি খননযন্ত্র। উদ্ধারকাজ থমকে যায়। উদ্ধার করার আগে পর্যন্ত সুড়ঙ্গের শ্রমিকদের সঙ্গে প্রশাসনের তরফে অনবরত যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে কথা চলছিল। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল খাবার, জল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। অবশেষে র্যাট হোল মাইনিংয়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে।