শেষ আপডেট: 30th January 2025 07:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহা কুম্ভে মহা বিপর্যয় ঘটে গেছে। পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যুমিছিল হয়ে গেছে যোগীরাজ্যে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তথ্য বলছে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, অন্তত ৬০ জন আহত। কীভাবে এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে তাঁরা।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় সামলানো যায়নি। তারপরই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। প্রয়াগরাজের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ জানিয়েছেন, রাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে আখড়া মার্গে অত্যাধিক ভিড় হয়েছিল। চাপ সামলানোর জন্য যে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা ভেঙে যায়। সেই মুহূর্তে প্রচুর মানুষ ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পিছনের পুরো ভিড় তাঁদের ওপর গিয়ে পড়ে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ব্যাখ্যা, ডুব দেওয়ার জন্য অপেক্ষারত ভক্তদের ওপর শয়ে শয়ে মানুষ পড়ে যান, তার ফলেই দুর্ঘটনা। যারা কোনও রকমে বেঁচে গেছেন তাঁদের অনেকেই বলছেন, ভিড় বাড়ছিল দেখে যদি সময়ে ব্যারিকেড খুলে দেওয়া হত তাহলে এত চাপ পড়ত না। কিন্তু সেটা করা হয়নি। ব্যারিকেড ভেঙে পড়তেই মানুষ এদিক ওদিক দৌড়াতে শুরু করেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
কুম্ভমেলায় এমন দুর্ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মেলার ইতিহাস বলছে, এর আগেও পুণ্যস্নানে এসে পদপিষ্ট হয়েছেন বহু মানুষ। ১৯৫৪ সালের প্রথম কুম্ভমেলা থেকে ২০২৫, তালিকাটা খুব একটা ছোট নয়। এর আগে ১৯৮৬, ২০০৩, ২০১৩ সালেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার কিছু পুণ্যার্থীদের বিরুদ্ধে ধাক্কা মারার অভিযোগও তুলেছেন কয়েকজন। তাঁরা দাবি করেছেন, ভিড় বাড়তে থাকলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি, উল্টে ধাক্কা মারা হয় জলের মধ্যে। তার জন্য আরও শোরগোল শুরু হয়। এই কারণে বহু ভক্ত মৌনী অমাবস্যার স্নান না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হন।
পদপিষ্টের ঘটনার পরে গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সংযোগস্থল ত্রিবেণী সঙ্গম কার্যত খালি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার দুপুরের কিছু পর আবার সেখানে একে একে যেতে শুরু করেন সাধু-সন্ন্যাসী, ভক্তরা। পুণ্যস্নানও শুরু হয়েছে। কদিন আগে প্রয়াগরাজের কুম্ভ মেলা প্রাঙ্গনে আগুন লেগেছিল। ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। এবার পদপিষ্টের ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যু হল। স্বাভাবিকভাবেই যোগী সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।