উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর আমৌলি গ্রামের বাসিন্দা রাজু পাল (৪৪)। আগেও দু'বার বিয়ে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু কোনও সংসারই টিকিয়ে রাখতে পারেননি।
ছবি-গুগল
শেষ আপডেট: 18 May 2025 13:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক সপ্তাহ আগেই তৃতীয় বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন নববধূকে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর ওপর নির্মম অত্যাচার শুরু হয়। এক সপ্তাহ পরই স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজু পালের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর আমৌলি গ্রামের বাসিন্দা রাজু পাল (৪৪)। আগেও দু'বার বিয়ে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু কোনও সংসারই টিকিয়ে রাখতে পারেননি। গত ৯ মে জনপুর জেলার বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের আরতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজু। দম্পতি আমৌলি গ্রামে এসে থাকতে শুরু করেন।
স্থানীয়দের তরফে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। প্রতিদিনই ঝগড়া হত তাঁদের। রাজু প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন বলেও অভিযোগ।
ঘটনার দিনও দুজনের মধ্যে অশান্তি হয়। এরমধ্যেই হঠাৎ আরতির চিৎকার শুনে ছুটে যান স্থানীয়রা। ঘরের মেঝেতে আরতিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আরতিকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা করা যায়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়াতদন্তের পর জানা যায়, শারীরিক নির্যাতন এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে আরতির।
পুলিশ অভিযুক্ত রাজু পালকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও অশান্তি করতেন রাজু। বেশিদিন সংসার টেকেনি, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তৃতীয় বিয়ের এক সপ্তাহ পর রাগের বশে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করল অভিযুক্ত।
কয়েক সপ্তাহ আগেই ছত্তিসগড়ের (Chhattisgarh) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর দশম স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে ৯টি বিয়ে করেছিলেন ধুলা রাম। কিন্তু অত্যাচারী স্বভাবের জন্য কেউই সংসার করতে পারেননি। দশম বিয়ের পরও স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করতেন তিনি। স্ত্রীকে খুন করে জঙ্গলে লুকিয়ে রেখেছিল স্বামী। পাঁচ দিন পর উদ্ধার হয় দেহ। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে খাবার চুরি করেছে স্ত্রী, এই সন্দেহে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন ধুলা রাম। তাতেই মৃত্যু হয় মহিলার। কেউ যাতে চিনতে না পারে মৃতার মুখ বিকৃত করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন ধুলা রাম।