শেষ আপডেট: 16th October 2024 10:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কানাডার বসবাসকারী খলিস্তানপন্থীদের হত্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নাম জড়িয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মঙ্গলবার আন্তজার্তিক কূটনীতিক মহলে ঝড় তুলে দিয়েছে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট। সোমবার কানাডা সরকার দাবি করেছিল, খলিস্তানিদের নিকেশে ভারতের উচ্চপদস্থ কর্তাদের হাত আছে।
মার্কিন সংবাদপত্রটির দাবি, কানাডার তৈরি ভারতের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের তালিকায় অমিত শাহের নাম আছে। সেই রিপোর্ট প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাকিন প্রশাসন বলল, কানাডার অভিযোগ গুরুতর। নয়া দিল্লির উচিত অভিযোগের তদন্তে কানাডার সঙ্গে সহযোগিতা করা।
ভারতীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, কানাডার অভিযোগকে হাল্কাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। মিলারের এই প্রতিক্রিয়া ভারতের জন্য অস্বস্তিকর বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। তবে মার্কিন প্রতিক্রিয়ার পিছনে শুধু কানাডার অভিযোগই বিবেচনায় নেই। মার্কিন নাগরিক তথা আর এক খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পুন্নুনের বিষয়টিও মার্কিন প্রশাসনের বিবেচনায় আছে।
পুন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত এক ভারতীয়কে গত বছর প্রথমে বেলজিয়ামের পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাঁকে মার্কিন আদালতে পেশ করা হয়। কানাডায় নিহত হরদীপ সিং নিজ্জরের মতো আমেরিকায় পুন্নুন খলিস্তানি আন্দোলনের মাথা। তাঁর বিরুদ্ধে আমেরিকায় ভারতের দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিসে হামলা হয়। নিজ্জর ও পুন্নুন, দুইয়ের বিরুদ্ধেই ভারতে খলিস্তানি অর্থাৎ স্বাধীন পাঞ্জাব রাজ্যের দাবিদারদের মদত করার অভিযোগ আছে। আছে গুরুতর ধারায় মামলা। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনও পুন্নুনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
উল্টে পুন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ভারত যোগ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে একাধিক মার্কিন এজেন্সি। তারা দিল্লি এসেও ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসনের কানাডার অভিযোগকে একপ্রকার মান্যতা দেওয়া কূটনৈতিক দৌত্যে ভারতকে চাপে রাখল সন্দেহ নেই। বিশেষ করে এসইও সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এখন পাকিস্তানে রয়েছেন। পাক সরকারও অভিযোগ করেছে ভারতীয় এজেন্টরা পাক ভূখণ্ডে ঢুকে পাক নাগরিকদের হত্যা করছে।