তুলসি গ্যাবার্ড ও মোদী।
শেষ আপডেট: 16th March 2025 22:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত সফরে এলেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। রবিবার দিল্লিতে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের (Ajit Doval) সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ডোভাল ছাড়াও বিশ্বের কুড়িটি দেশের নিরাপত্তা (security advisor) ও গোয়েন্দা প্রধানদের (intelligence chief) সঙ্গে বৈঠক করেন তুলসি। নতুন দিল্লিতে (New Delhi) রবিবার থেকে শুরু হয়েছে রায়সিনা ডায়লগ (Raisina dialogue)। সেখানেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কুড়ি দেশের গোয়েন্দা প্রধান ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের। সেখানে ডাক পায়নি বাংলাদেশ (Bangladesh) ও পাকিস্তান (Pakistan)।
তবে বৈঠকে কথা হয় পাকিস্তান, বাংলাদেশ নিয়ে।
ট্রাম্পের গোয়েন্দা প্রধান ভারত (India) সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে খবর। ভারত থেকে তিনি জাপান এবং (Japan) ফ্রান্সে (France) যাবেন।
তুলসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অত্যন্ত আস্থাভাজন। সামরিক কর্মকর্তা থেকে গোয়েন্দা প্রধান হিসাবে নিয়োগ পান গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের দিন। মোদীই ছিলেন তাঁর প্রধান বিদেশি অতিথি।
ইসকনের ভক্ত হিন্দু (Hindu) ধর্মাবলম্বী গ্যাবার্ড প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় নিয়ে কথা হয়। দ্বিতীয় বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসার পর ট্রাম্প এই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তুসসি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লক্ষ্যপূরণই হবে তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য।
আগেই ঠিক ছিল, তুলসির সফরে ভারতের গোয়েন্দা কর্তারা বাংলাদেশ (Bangladesh) ও পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানকে অবহিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর আলোচনাতেও এই বিষয়গুলি প্রাধান্য পেয়েছিল।
কাশ্মীরে পাকিস্তানের জঙ্গি (militancy) তৎপরতা চেনা বিপদ ভারতের কাছে। নতুন বিপদ বাংলাদেশ। সেখানে গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতির গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। ইসলামিক (Islamic) জঙ্গিদের একাংশ জেল ভেঙে পালিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে, একাধিক দাগি জঙ্গি জামিনে মুক্ত। এই পরিস্থিতিতে ভারত উদ্বিগ্ন। হাসিনা ( Sheikh Hasina) সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রীতি এবং আইএসআইয়ের (ISI) তৎপরতা বৃদ্ধি চিন্তার কারণ হয়েছে ভারতের জন্য। চলতি পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী মার্কিন প্রশাসনের জঙ্গিপনা, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের পক্ষে বাধা হয়ে উঠতে পারে বলে তুলসিকে বোঝাবে ভারত।