শেষ আপডেট: 7th September 2024 13:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'শেরনি' সিনেমায় যেভাবে বাঘের মূত্র দিয়ে চোরাশিকারীদের ফাঁদ পাতার চিত্রনাট্য লেখা হয়েছিল সেই কৌশলে মানুষখেকো নেকড়ে ধরার ছক কষেছিল উত্তরপ্রদেশের বন দফতর। সেই ফাঁদ ধোপে টিকছে না। একের পর এক শিশুকে মেরে, ৩৫ জনেরও বেশি মানুষকে জখম করে বাহারাইচের ঘুম কেড়ে নিয়েছে আদমখোর নেকড়ের পাল।
ছোট বাচ্চার সাইজের রঙচঙে পোশাক পরা পুতুলে শিশুর মূত্র মাখিয়ে নেকড়েদের আকর্ষণ করার ছক কষেছিল বন দফতর। যাতে শিশু ভেবে নেকড়েরা তার কাছাকাছি আসে।
উত্তরপ্রদেশের বন দফতর মানুষখেকো নেকড়ে ধরতে ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ কাজে লাগছে না। বনদফতরের আধিকারিকরা বলছেন, 'নেকড়ে ভীষণ ধূর্ত। কুকুরেরা যেমন গন্ধ শুঁকে বুঝে যায়, তেমনই এই নেকড়েরাও এখন মানুষের মূত্রের গন্ধ পেয়ে, সাজানো পুতুল দেখে বুঝে নিচ্ছে তাদের জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছে।' তাঁরা আশা করেছিলেন এই কায়দায় হয়তো ধরা পড়বে আদমখোররা। কিন্তু সব ফাঁদে জল ঢেলে দিচ্ছে তারা।
ক'দিন আগেই ঘরে ঢুকে ১২ বছরের বালককে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মানুষখেকো নেকড়ে। গুরুতর জখম হয়েছে সে। অন্যদিকে, বাড়ির বাইরে খেলার সময় আট বছরের বালকের ওপর আচমকা হামলা চালায় নেকড়ে। আহত অবস্থায় ওই বালককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার মাহসিলের।
এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে মানুষখেকো নেকড়ে সন্দেহে একটি কুকুরকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা। পরে বনকর্মীরা জানান, মারা যাওয়া প্রাণীটি নেকড়ে নয়, কুকুর। কবে এই আতঙ্কের শেষ হবে তা নিয়েই চিন্তিত উত্তরপ্রদেশের বাহারআইচ।