শেষ আপডেট: 27th October 2024 12:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিখোঁজ হওয়ার চার মাসের মাথায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হল উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জেলাশাসকের বাংলো থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাঁকে চার মাস আগেই খুন করা হয়েছিল। তারপর পুঁতে দেওয়া হয়।
কানপুরের রায়পুরওয়ার বাসিন্দা বিমল সোনি পেশায় জিম ট্রেনার। কিছু মাস আগে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। যা নিয়ে এই মহিলা খুশি ছিলেন না। সম্পর্কে তিক্ততার শুরু সেখান থেকেই। এই নিয়ে ঝামেলা চলছিল বলেই জানায় তাঁদের পরিচিতরা। জুন মাসে জিম যাওয়া বন্ধ করে দেন ওই মহিলা।
বিমল সোনি পুলিশকে জানান, জুন মাসে প্রায় ২০ দিন ওই ব্যবসায়ী পত্নী জিমে আসেননি। তারপর হঠাৎ একদিন হাজির হন। কথা বলতে তাঁরা দুজনই এরপর একটি গাড়িতে করে বের হন জিম থেকে। গাড়িতেই বচসা হয়।
জেরায় বিমল স্বীকার করেছেন, বচসা চলাকালীন মহিলার গলায় ঘুষি মারেন তিনি। অজ্ঞান হয়ে যান মহিলা। এরপরই তাঁকে খুন করে পুঁতে দেওয়া হয় জেলা শাসকের বাংলোয়।
২৪ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। খোঁজাখুঁজির পরও কোথাও পাওয়া যায়নি। খুন হয়েছেন এমন আঁচ করা গেলেও পুলিশ বিমলের হদিশ পাচ্ছিল না। বিমল যেহেতু কোনও ফোন ব্যবহার করেন না, তাই তাঁকে ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না কোনওভাবেই।
পরে পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। জেরায় উঠে আসে এই সমস্ত তথ্য। কোথায় দেহ পুঁতেছে সে, তা পুলিশকে না জানালেও কিছু ইঙ্গিত দিয়ে দেন। জানান, যেখানে পুঁতে দেওয়া হয়েছে দেহ, সেখানে সরকারি আধিকারিকদের বাংলো রয়েছে। তারপরই জেলাশাসকের বাংলোর মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কানপুরের ডিসিপি শ্রবণ কুমার সিং এবিষয়ে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ঠিক কী কারণে খুন তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মামলা দায়ের হয়েছে কোতওয়ালি থানায়।