শেষ আপডেট: 19th July 2024 17:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের লোকো পাইলট। তবে কি কোনও বিস্ফোরণের জেরে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল? যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ উত্তর প্রদেশের পুলিশ। রেল সূত্রের খবর, সে রাজ্যের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে এমন কোনও বিস্ফোরণ হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, ৮টি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। আহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কীভাবে এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধন্দ দেখা দিয়েছে।
গোন্ডা জেলায় মোতিগঞ্জ-ঝিলাহি রেল স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনের চালকের দাবি, দুর্ঘটনার ঠিক আগে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন তিনি। ফলে ইমার্জেন্সি ব্রেক মারতে বাধ্য হন। তার অভিঘাতেই বেলাইন হয়ে যায় কামরগুলি।
ট্রেনের এক যাত্রীও দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার ঠিক আগে একটি বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। আর তারপরই জোর ঝাঁকুনি। তাহলে কি এই দুর্ঘটনার পেছনে নাশকতার সম্ভাবনা থাকতে পারে? স্বাভাবিকভাবে এমন প্রশ্নও উঠেছে। বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য লোকো পাইলটদের দাবি মানতে চায়নি। তাঁদের স্পষ্ট কথা, ট্রেন দুর্ঘটনার আগে কোনও বিস্ফোরণই হয়নি।
এ্রপ্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, 'ডিব্রুগড় এক্সপ্রস লাইনচ্যুত হওয়ার জন্য কোনও বিস্ফোরণ দায়ী নয়।' উত্তরপ্রদেশের রিলিফ কমিশনার জি এস নবীনের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার রাত আটটার মধ্যেই উদ্ধারকাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। বেলাইন কামরায় আর কোনও যাত্রী আটকে নেই। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের অন্য ট্রেনে করে গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত ১৭ জুন শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পিছন থেকে এসে ধাক্কা মারে একটা মালগাড়ি। প্রাণ হারান বহু মানুষ। এক মাসের মধ্যে ফের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। এদিকে একের পর এক রেল দুর্ঘটনার পরও যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে রেল উদাসীন কেন, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বিরোধী দলের একাধিক নেতা।