এটিএসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শাহজাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল।
ধৃত শাহজাদ
শেষ আপডেট: 19 May 2025 02:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হরিয়ানার ইনফ্লুয়েন্সারের পর এবার উত্তরপ্রদেশের চোরাচালানকারী। আইএসআই-য়ের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে গ্রেফতার ব্যক্তি।
অ্যান্টি-টেররিজম স্কয়্যাড (ATS) গোপন সূত্রের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশের শাহজাদের ওপর নজর রাখে। বেশ কিছুদিন তাঁর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার পর শনিবার গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার বাসিন্দা।
পহেলগামে ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার পর ও অপারেশন সিঁদুর দিয়ে প্রত্যাঘাত শেষে দেশজুড়ে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং ইউটিউবারও।
এটিএসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শাহজাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। ওই তথ্য অনুযায়ী, তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার আশ্রয়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, শাহজাদ একাধিকবার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছেন এবং সেখানে অবৈধভাবে প্রসাধনী, পোশাক, মশলা ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের দাবি, এই চোরাচালানের আড়ালে শাহজাদ গুপ্তচরবৃত্তির কাজ করতেন।
শাহজাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি আইএসআই-এর একাধিক এজেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত সংবেদনশীল তথ্য তাঁদের কাছে সরবরাহ করতেন। এছাড়াও পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার নির্দেশে তিনি এদেশে অপারেশন পরিচালনার ক্ষেত্রেও সহায়তা করতেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।
এখানেই শেষ নয়। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, শাহজাদ আইএসআই-এর নির্দেশে পাকিস্তানের এজেন্টদের অর্থ সরবরাহ করতেন এবং রামপুর-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে চোরাচালানের অজুহাতে পাকিস্তানে পাঠানোর বন্দোবস্ত করতেন, যাদের মধ্যে অনেককেই পরে আইএসআই-র সঙ্গে যুক্ত করা হতো।
এইসব ব্যক্তিদের ভিসা ও ভ্রমণসংক্রান্ত নথিপত্রের ব্যবস্থা করা হত আইএসআই-এর সহায়তায়। এমনকি শাহজাদ ভারতীয় সিম কার্ড সংগ্রহ করে সেগুলি পাক এজেন্টদের হাতে তুলে দিতেন, যাতে তাঁরা গোপনে যোগাযোগ রাখতে পারেন।
এই ঘটনায় শাহজাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita)-র ১৪৮ ও ১৫২ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়েছে এবং বাকি আইনি প্রক্রিয়া আপাতত চলছে।