শেষ আপডেট: 11th September 2024 19:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যুগ পাল্টেছে মানসিকতা একই থেকে গেছে। পাল্টায়নি আদিম প্রবৃত্তি। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ঘটনা মনে করিয়ে দিতে পারে মহাভারতের গল্প। দ্রৌপদীকে বাজি রেখে যুধিষ্ঠির যেভাবে পাশা খেলেছিলেন, কার্যত সেভাবেই স্ত্রীকে বাজি রেখে জুয়া খেলল উত্তরপ্রদেশের ব্যক্তি। বন্ধুদের সামনে স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করে সে নিজেই।
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজের মায়ের কাছে ফিরে গেলে, মহিলাকে ফেরার জন্য অত্যাচার করতে থাকে অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার হাতের আঙুল পর্যন্ত ভেঙে দেয় সে।
উত্তর প্রদেশের শাহবাদ পুলিশ স্টেশন এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা। তিনি পুলিশকে জানান, ২০১৩ সালে বিয়ে হয় তাঁর। পণের দাবিতে শ্বশুর ও স্বামী দু'জনই মহিলাকে অত্যাচার করত শুরুতে। তিনি জানান, স্বামী মদ্যপানে আসক্ত ও জুয়ারি। এই জুয়ার নেশায় ১২ বিঘা জমি ও মহিলার গয়নাও খুইয়ে ফেলেছে সে।
মহিলা প্রতিবাদ করলে ও পুলিশে খবর দিলে এলাকা ছেড়ে পালায় সে। মহিলা পুলিশকে অভিযোগ জানায়, বন্ধুদের সঙ্গে জুয়া খেলায় সে এতই মত্ত থাকে যে স্ত্রীর শ্লীলতাহানি নিয়েও আওয়াজ তোলেনি কখনও। নিজেই সকলের সামনে শ্লীলতাহানি করেছে উল্টে। উঠে আসে আরও একাধিক ভয়ঙ্কর অভিযোগ। মহিলার দাবি, অনেকসময় এমন হয়েছে তাঁর স্বামী তাঁকে জলও খেতে দেয়নি। বন্ধুদের সামনে অপমান করেছে।
মহিলা বলেন, "আমি অত্যাচারের চোটে মায়ের কাছে চলে যাই কিন্তু এই মাসের ৪ তারিখ বন্ধুদের নিয়ে ও আসে আমার বাড়িতে। আমাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আঙুলও ভেঙে দেয় আমার। বন্ধুদের সামনেই শ্লীলতাহানি করে। জামা টেনে ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয়। আমার প্রতিবেশীরা বাঁচাতে আসলেদলবল নিয়ে পালিয়ে যায় ও।"
পুলিশের কাছে নির্যাতিতা আবেদন জানিয়েছেন, তিনি চান তাঁর স্বামী ও বন্ধুদের বিরুদ্ধে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক। ৩ সন্তান রয়েছে তাই যা সম্পত্তি রয়েছে, তা যেন অক্ষত থাকে, অন্তত তাদের জন্য।
ঠিক কী হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা হলে মহিলা বলেন, "আমি বলতে পারব না আমার সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে। যা বলার আমি আদালতে বলব।"
ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।