শেষ আপডেট: 1st January 2025 14:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষককে চরম সাজা শোনাল আদালত। তিরুবনন্তপুরমের একটি বিশেষ ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষককে ১১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১.০৫ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, জরিমানার টাকা দিতে না পারলে অভিযুক্ত মনোজকে (৪৪) অতিরিক্ত এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। পাঁচ বছর ধরে চললেও বছরের শেষ দিনে মামলার নিষ্পত্তি করল আদালত।
জানা গেছে, ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরেই আত্মহত্যা করেন মনোজের স্ত্রী। বিচারপতি আর রেখা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২ জুলাইয়ের ঘটনা। শিক্ষক হয়ে কীভাবে তিনি এমন কাজ করতে পারলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, যার অভিভাবক হওয়ার কথা তিনি কীভাবে এমন ঘৃণ্য অপরাধ করতে পারলেন? এর কোনও ক্ষমা নেই।
উল্লেখ্য, একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যেতেন। একটি স্পেশ্যাল ক্লাসের নামে বাড়িতে ডেকে তাঁকে ধর্ষণ করে সে। পাশাপাশি মোবাইলে আপত্তিকর কিছু ছবি তুলে ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইলও করা হত। ঘটনার পর ছাত্রী ভয়ে টিউশন ক্লাসে যাওয়াই বন্ধ করে দেন।
ছাত্রীর আচমকা এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি অভিযুক্ত। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল করে দেয় শিক্ষক। বিষয়টি নজরে আসতেই ছাত্রীর পরিবারের তরফে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং নির্যাতিতার আপত্তিকর ছবি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
শুধু গৃহশিক্ষক নয়, কেরলের এক সরকারি দফতরের কর্মী ছিল সে। পুলিশের জেরার মুখে প্রথমে সে জানিয়েছিল ঘটনার দিন অফিস ছিল। কিন্তু পরে অফিসের খাতা দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে ওইদিন শিক্ষক অফিসেই যায়নি। ছুটি নিয়েছিল সে।