শনিবার রাজ ঠাকরের সঙ্গে যৌথ সমাবেশে বিজেপি এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে আক্রমণ করে উদ্ধব সাফ জানিয়ে দিলেন, “আমরা কোনও ভাষার বিরোধী নই। কিন্তু জোর করে চাপাতে গেলে, শক্তি দেখাব।”
উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরে
শেষ আপডেট: 5 July 2025 15:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে মহারাষ্ট্রে প্রতিরোধ হবেই, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackrey)। শনিবার রাজ ঠাকরের সঙ্গে যৌথ সমাবেশে বিজেপি এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে (Devendra Fadnavis) আক্রমণ করে উদ্ধব সাফ জানিয়ে দিলেন, “আমরা কোনও ভাষার বিরোধী নই। কিন্তু জোর করে চাপাতে গেলে, শক্তি দেখাব।” একই সঙ্গে টানা হয়েছে বাংলার প্রসঙ্গও। কেন, সেটা জানতে হলে প্রেক্ষাপট জানা প্রয়োজন।
বিজেপি পরিচালিত মহারাষ্ট্র সরকার (Maharashtra Government) সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, যেখানে ইংরেজি ও মারাঠি মাধ্যমের প্রাথমিক স্কুলে (১ থেকে ৫ শ্রেণি পর্যন্ত) হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রবল বিরোধিতার মুখে পরে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে হিন্দিকে ‘ঐচ্ছিক’ বলে ঘোষণা করা হয়।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে উদ্ধব বলেন, “আপনি বলেছেন ভাষা-বাজি বরদাস্ত করবেন না। তাহলে দেখান, একজন মারাঠিও কি মহারাষ্ট্রের বাইরে গিয়ে কারও উপরে মারাঠি ভাষা চাপিয়েছে?” এরপরই কটাক্ষের সুরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন, বলেন “সাহস থাকলে বাংলা বা তামিলনাড়ুতে গিয়ে হিন্দি চাপিয়ে দেখাক বিজেপি!”
উদ্ধবের কথায়, “আমরা বাংলার মানুষের সঙ্গে একাত্ম। তামিল ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। কেন্দ্র বারবার হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যা একধরনের উপনিবেশবাদ। এই মানসিকতা আমরা মেনে নেব না।”
ঘটনা হল, এর আগেও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার হিন্দি চাপানোর প্রবণতার বিরোধিতা করেছেন। মমতা বলেছিলেন, “প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। বিজেপি এটা ঠিক করবে না যে কে কী ভাষা শিখবে।”
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য দাবি করেছেন, “হিন্দি কোনও ভাষার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং সকল ভারতীয় ভাষার বন্ধু।”