ট্রাভেল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত একবার নয়, দুবার পাকিস্তানে গেছিলেন জ্যোতি মলহোত্রা।
জ্যোতি মলহোত্রা
শেষ আপডেট: 17 May 2025 17:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর বলে পরিচয় দিতেন। কিন্তু এখন তাঁকে পাকিস্তানের গুপ্তচর (Pakistan Spy) বলে চিহ্নিত করেছে ভারত সরকার। এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। জ্যোতি মলহোত্রা (Jyoti Malhotra) ওরফে জ্যোতি রানি হরিয়ানার হিসার (Haryana Hisar) থেকে ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে। জ্যোতি ছাড়াও আরও ৬ জনকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ট্রাভেল উইথ জো - নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল (Youtuber) রয়েছে জ্যোতির। নানা জায়গায় ঘুরে বেরিয়ে সেই চ্যানেলের মাধ্যমেই সবকিছু শেয়ার করতেন তিনি। ট্রাভেল কনটেন্ট ক্রিয়েটার হিসেবে ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত একবার নয়, দুবার পাকিস্তানে গেছিলেন জ্যোতি মলহোত্রা। দাবি, ওই সময় থেকেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করছেন তিনি।
এহসান উর রহিম ওরফে দানিস নামে পাকিস্তান হাই কমিশনের এক আধিকারিকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল জ্যোতির। তাঁর সাহায্যেই ২০২৩ সালের পর দুবার পাকিস্তানে গেছিলেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর অভিযান করে ভারত। পাল্টা হামলা চালালে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় দুই দেশের মধ্যে। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি শান্ত হলেও পাক হাই কমিশনের এই আধিকারিক দানিশকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় নয়াদিল্লি। এরপরই জ্যোতির বিষয়টি সামনে আসে।
পুলিশি জেরায় জ্যোতি বলেছেন, পাকিস্তান যাওয়ার জন্য ভিসার ব্যাপারে কথা বলতে দিল্লিতে পাক হাই কমিশনে গেছিলেন তিনি। তখনই তাঁর সঙ্গে দানিসের দেখা হয় এবং দুজনে কথা বলতে শুরু করেন। জ্যোতি জানিয়েছেন, দানিসই পাকিস্তানে তাঁর থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন এবং এর জন্য আলি বলে অন্য একজনও সাহায্য করেছিল। কীভাবে পাক নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল তাও জানিয়েছেন জ্যোতি।
জেরায় জ্যোতি স্বীকার করেছেন, আলিই পাক ইন্টালিজেন্সের দুই আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের ফোন নম্বরও তিনি সেভ করেছিলেন তবে অন্য নামে, যাতে সন্দেহ না তৈরি হয়। ভারতে ফিরে আসার পর ওই অফিসারদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত সম্পর্ক রাখতেন হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাট সহ আরও একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় মারফৎ। এইভাবে দেশের নানা তথ্য তিনি পাচার করতেন বলে জেনেছে পুলিশ।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, তথ্য পাচার করার একটি চক্র এ দেশে তৈরি হয়েছে এবং তাতেই সক্রিয় সদস্য ছিলেন জ্যোতি। পাক গুপ্তচর সংস্থার একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের পর তিনি বালি এবং ইন্দোনেশিয়া গেছিলেন। দাবি, সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক পাক গুপ্তচরও। সেখানে ভারতের একাধিক তথ্য পাচার করেছেন জ্যোতি বলে সন্দেহ।