শেষ আপডেট: 11th February 2025 15:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহাকুম্ভে কী ভিড়, পুণ্যস্নানের জন্য প্রয়াগরাজ যাওয়ার চেষ্টা যারা করছেন সেই ভিড় দেখলে মাথা ঘুরে যাবে। হাজার হাজার পুণ্যার্থী রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন প্রয়াগরাজ ঢোকার আগে। কেউ কেউ গাড়িতেই রাত-দিন-রাত কাটিয়ে দিচ্ছেন। সেখানেই খাচ্ছেন, ঘুমোচ্ছেন। ইতিমধ্যে ৩০০ কিমি লম্বা ট্রাফিক জ্যাম হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সম্প্রতি ট্রাফিক জ্যামের জন্য বিহার ছেড়েই বেরোতে পারেননি বহু পুণ্যার্থী।
মঙ্গলবার ভোরের সাসারামে রোহতস ন্যাশনাল হাইওয়ের জ্যাম তাক লাগিয়ে দিয়েছে। টানা ৩৫ কিমি ধরে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বুধবার মাঘি পূর্ণিমা। তাই আরও বেশি মাত্রায় ভিড় হওয়ার আভাস পেয়ে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। গোটা প্রয়াগরাজ শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর থেকে শহরে বাইরের জেলা বা রাজ্য থেকে আসা গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। এই কারণেই আরও জ্যাম হচ্ছে।
প্রচুর ভক্তরা ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, গাড়ি নিয়ে কুম্ভে যাওয়ার পথে বিহার ছাড়াতেই যানজটের শিকার হতে হচ্ছে। কাউকে কাউকে প্রায় ১২ ঘণ্টা এক জায়গায় গাড়ি নিয়ে রাত কাটাতে হয়েছে। দুর্ভোগে পড়া পুণ্যার্থীরা রাগ প্রকাশ করে বলেছেন, ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাট নয়, পথই আপাতত মহাকুম্ভ মেলায় পরিণত হয়েছে। পুণ্যার্থীদের ক্ষোভ বাড়ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ওপর। তাঁদের অভিযোগ, পুণ্যার্থীদের কোনও কথাই শোনা হচ্ছে না। ট্রাফিক আগে ক্লিয়ার করার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না।
প্রয়াগরাজে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার কারণে পড়শি রাজ্যগুলিতে পুণ্যার্থীদের চাপ বাড়ছে। কুম্ভমেলা যাওয়ার ট্রেনে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটেছে। ভিড়ের চাপে উঠতে না পেরে চালানো হয় তাণ্ডব। বারাণসীর পর বিহারে ঘটেছে এই ঘটনা। তার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেখানেই দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেনে একের পর এক পাথর ছুঁড়ে মারছেন। এসি কামরার কাচ ভেঙে দিচ্ছেন। ঘটনায় এক্সপ্রেসের মধ্যে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি পড়েছে মাঘি পূর্ণিমা। এই দিনে মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করতে কোটি কোটি পুণ্যার্থী ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন। দলে দলে আরও পুণ্যার্থীরা আসছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। তবে কতজন শহরে ঢুকতে পারবেন তা কেউই জানেন না।