প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 7 May 2025 18:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহেলগাম হামলার তীব্র প্রত্যাঘাত ভারতের। বুধবার ভোররাতে পাকিস্তানের ৯ জঙ্গিঘাঁটিতে একযোগে আঘাত হানে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা। এই সম্মিলিত সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানকে দেওয়া ভারতের এই জবাবে উত্তেজিত কাশ্মীরের পর্যটকরা। কী বলছেন তাঁরা (Tourists in Jammu & Kashmir's Pahalgam reacts to Operation Sindoor)।
২২ এপ্রিল, পহেলগামে পর্যটকদের ওপর নৃশংস জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack)। এরপর কার্যত অনেকটাই বদলে গিয়েছে কাশ্মীরের চিত্রটা। তবে ভারতীয়রাও দমে থাকেনি। ধীরে ধীরে ভূস্বর্গে দেখা মিলছে পর্যটকদের। ভারতের এই প্রত্যুত্তরে খুশি তাঁরা। তাঁদের দাবি, 'কাশ্মীর আমাদের'।
তাঁরা আরও বলেন, "আমাদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে। আমরা কাশ্মীরে ঘুরছি। কোনও ভয় নেই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে।" একজন পর্যটক বলছেন, 'পহেলগামে ঘুরছি। আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না কেউ। ভারতের উচিৎ জবাব দিয়েছে। আগামী দিনে তাদের সন্ত্রাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে হবে।'
মুম্বই থেকে পরিবার নিয়ে কাশ্মীরের (Kashmir) ঘুরতে এসেছেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, 'পহেলগাম হামলার যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদেরকে স্যালুট জানাই। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আমার আস্থা আছে। আমি জানি বদলা নিতে যা যা প্রয়োজন তাঁরা করবে। যারা দেশ চালাচ্ছে, তাঁদের উপরও আমার ভরসা আছে।'
পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় লেখা হল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথমবার ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা একযোগে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) ভিতরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটির বিরুদ্ধে অভিযান চালাল। এই সম্মিলিত সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই অভিযানে ব্যবহার করা হয় ‘কামিকাজে ড্রোন’ বা ‘লোইটারিং আমিউনিশন’, যেগুলো লক্ষ্যবস্তুতে ধাক্কা মেরে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
সেনাবাহিনীর দাবি, এই ৯টি সাইটের মধ্যে ছিল পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দফতর এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার ঘাঁটি। তবে সেনাবাহিনী স্পষ্ট করেছে যে, 'এই অভিযানে কোনও পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়নি। ভারতের পক্ষ থেকে লক্ষ্য বেছে নিতে এবং অপারেশনের কৌশলে যথেষ্ট সংযম দেখানো হয়েছে।'
এই ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর সাংবাদিক বৈঠক করেন দেশের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। জানিয়ে দিলেন, পহেলগাম হামলার (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় যুক্ত 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' সম্পর্কে তথ্য ছিল তাঁদের কাছে। বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল ইউএন কাউন্সিলের বৈঠকে। এই ধরনের ছোট ছোট জঙ্গি সংগঠন দিয়েই সীমান্তে ও এদেশে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করায় লস্কর বা জইশের মতো গোষ্ঠীগুলি। এবার তাদের যোগ্য জবাবের পালা।