দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার পর পর গুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে কাশ্মীরের অন্যতম সুন্দর জায়গা পহেলগামের বৈসরন উপত্যকা। মৃত্যু হয় ২৬জন পর্যটকের। এই পরিস্থিতিতে শ্রীনগর থেকে গুলমার্গ, থমথমে সর্বত্র। বন্ধ দোকানপাট। রাস্তাঘাটেও লোকজন গুটিকয়েক। যা দেখে তড়িঘড়ি ঘরে ফেরার চেষ্টা করছেন পর্যটকরা। ট্রেন, বাস, ফ্লাইটে হুড়োহুড়ি পরিস্থিতি। সকলের মধ্যে শুধুই আতঙ্ক! কিন্তু মহারাষ্ট্রের দুই মহিলা করলেন একদম বিপরীত পদক্ষেপ। 

কাশ্মীর থেকে ভাল স্মৃতি নিয়েই বাড়ি ফিরবেন, এমনটা ঠিক করে নিয়েছেন তাঁরা। আতঙ্ক, ভয় নিয়ে ফেরা নয়। তাই সুযোগ পেয়েও কাশ্মীর ছাড়তে নারাজ। পহেলগামের পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় আপাতত সেখান থেকে বেরিয়ে শ্রীনগরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই দুই মহিলা।  

তাঁদের কথায়, 'অনেকে আমাদের চাপ দিয়ে ফ্লাইট বুক করে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল কারণ যা ঘটেছে তা ভয়ানক। তবে আমরা ভয় পাইনি। পহেলগাম ছাড়ছি কিন্তু কাশ্মীরেই থাকব আপাতত।' একই সঙ্গে জানান, স্থানীয়দের আতিথেয়তায় তাঁদের আস্থা রয়েছে। বিশ্বাস জন্মেছে। আগলে রেখেছেন তাঁরাই। সর্বদা সাহায্যের জন্য তৈরি।

উদাহরণ দিয়ে বলতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে একজন, চালকের প্রশংসা করেন। জানান, ওই ব্যক্তি জাত-পাত-ধর্ম কিছুই জানতে চাননি। শুধু নিরাপদভাবে হোটেলে পৌঁছে দিয়েছেন। হামলার পরও ওই চালক পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়েই বেশি চিন্তিত ছিলেন। কাশ্মীর অপূর্ব তাই সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতেই হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

এই আবহে ফ্লাইটের ভাড়া বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও ইজ মাই ট্রিপের চেয়ারম্যান নিশান্ত পিট্টি জোর দিয়েই বলছেন, 'কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা গ্রাহকদের সুবিধার্থে এপ্রিল ২২ তারিখ বা তার আগে করা সমস্ত বুকিংয়ের জন্য এপ্রিল ৩০ পর্যন্ত বিনামূল্যে পরিবর্তন ও বাতিলের সুযোগ দিচ্ছি। যাতে ঘুরতে যেতে বা ফিরতে কোনও সমস্যা না হয়।'