শেষ আপডেট: 27th January 2025 13:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে গত শুক্রবার জোর বিবাদ হয় শাসক এবং বিরোধী সাংসদদের মধ্যে। তৃণমূলের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রধান তথা বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে। তর্কাতর্কি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, কল্যাণ ও মিমের ওয়েইসি-সহ ১০ বিরোধী সাংসদকে সেদিনের মতো সাসপেন্ড করা হয়। মুলতুবি রাখার পর আজ অর্থাৎ সোমবার ফের বৈঠক বসে।
এদিনও ফের সরব হলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল সকাল সাংসদের অভিযোগ, "বৈঠক শুরুর মাত্র ৪১ মিনিট আগে আমি সংশোধনীর তালিকা সংক্রান্ত নথি হাতে পেয়েছি। তাই প্রস্তাবিত সংশোধনী পর্যালোচনা করার সময়টুকুও ভালভাবে পাইনি আমি।"
নিয়ম অনুযায়ী এখন ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তি নিয়ে কোনওভাবেই আলোচনা করার সুযোগ থাকে না। সেই নিয়মে বদল আনতে গত বছর ৮ অগস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরন রিজিজু।
কেন্দ্রের এই বিলের বিরোধিতা করেছিল বিরোধীরা। শেষে দু'পক্ষের সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বিল পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, এসপি, আপ, মিম-সহ প্রায় সব বিরোধী দল জানিয়েছিল, এই বিল যেমন মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা কেড়ে নেবে, তেমনই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতেও আঘাত করবে।
শুধু তাই নয়, নতুন আইনে যাবতীয় ক্ষমতা জেলাশাসকের হাতে চলে যাবে। ফলে জেলাশাসক ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। যাবতীয় গুরুত্ব হারাবে ওয়াকফ বোর্ড।
বস্তুত, তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে অভিযোগ করে বলেছিলেন, "আমরা বারবার দাবি জানাচ্ছিলাম যে বৈঠকটি আগামী ৩০, ৩১ জানুয়ারি ডাকা হোক। কিন্তু, আমাদের অনুরোধ-উপরোধে কর্ণপাত করা হয়নি। সামনেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন, তাই ওদের ওয়াকফ বিল সংশোধন নিয়ে এত তাড়াহুড়ো।"