শেষ আপডেট: 9th January 2025 14:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিরুপতিতে পদপিষ্টের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহুজন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে অবশ্য কিছুজন ছাড়াও পেয়েছেন। তাঁরাই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন নিজেদের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
পুজো দেওয়ার টোকেন নিতে তিরুপতিতে আনুমানিক ৪ হাজার লোকের ভিড় হয়েছিল। সেই ভিড় সামলাতে মন্দির কর্তৃপক্ষ তো বটেই, পুলিশও ব্যর্থ হয়। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। বরাত জোরে যারা প্রাণে বেঁচেছেন তাঁদের কেউ কেউ বলছেন, 'পাঁচ মিনিটের জন্য ভেবেছিল যে সত্যিই মরে গেছি। বিশ্বাস হচ্ছিল না যে এইভাবে বেঁচে যাওয়া সম্ভব।' আবার কারও কথায়, 'কতক্ষণ শ্বাস নিতে পারিনি বলতে পারব না। এখনও আতঙ্কে আছি...'
লক্ষ্মী নামের এক মহিলা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আচমকা ভিড় সামনের দিকে এগোতে শুরু করেছিল। হঠাৎ সামনের অন্তত ১০ জন হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান। তাদের ওপর আরও বেশ কয়েকজন পড়ে গেছিল। তিনি নিজেই ভিড়ের চাপে পড়ে গেছিলেন। তবে জানান, পাশের কয়েকজন ছেলে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে। নাহলে তিনিও বাঁচতে পারতেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে মল্লিকা নামের এক মহিলা ভিড়ের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। এই কারণে বাকিরা তাড়াহুড়ো করে মন্দির চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করে। পদপিষ্টের ঘটনার সেটাই সূত্রপাত। টিকিট দেওয়ার জন্য ৯১টি কাউন্টার খোলা হয়েছিল। তবে আচমকা গেট খুলে দেওয়ায় ভিড়ের চাপ বাড়ে। যার ফলে দুর্ঘটনা। মল্লিকা নিজেও মারা গেছেন এই ঘটনায়।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নাইডু মৃত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দুঃখপ্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ঘোষণা করা হয়নি।