গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পশু বিনিময় কর্মসূচির আওতায় কলকাতা থেকে একজোড়া বাঘকে পাঠানো হয়েছিল সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায়। তাদের মধ্যে মেয়ে বাঘটি চলতি বছরের ১১ মে তিনটি ছানার জন্ম দেয়।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 19 May 2025 14:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ত্রিপুরার সিপাহীজলার চিড়িয়াখানায় জন্ম নিল তিনটি বাঘের ছানা। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ত্রিপুরার একমাত্র জুজলিক্যাল পার্কের ইতিহাসে এই ঘটনা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে জানিয়েছেন ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, 'এই প্রথম আমাদের চিড়িয়াখানায় বাঘের ছানার জন্ম হল। সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।'
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পশু বিনিময় কর্মসূচির আওতায় কলকাতা থেকে একজোড়া বাঘকে পাঠানো হয়েছিল সিপাহিজলা চিড়িয়াখানায়। তাদের মধ্যে মেয়ে বাঘটি চলতি বছরের ১১ মে তিনটি ছানার জন্ম দেয়। বর্তমানে মা বাঘ এবং তার তিনটি ছানা
এনক্লোজারে সুস্থ রয়েছে। আপাতত সাবধানতার জন্য এনক্লোজার থেকে পুরুষ বাঘটিকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
বিশ্বজিৎ দাস জানান, মা ও ছানাদের উপর নজর রাখতে ১১টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছে। যাতে মা বাঘ ও ছানারা বিরক্ত না হয়, সে কারণে দর্শনার্থীদের ওই এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে।
মা বাঘটির পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন তাকে সুষম খাবার দিচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দিনে দু’তিনবার মাংসের স্যুপও পরিবেশন করা হচ্ছে, যাতে সে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ দিতে পারে এবং ছানারাও যথাযথ পুষ্টি পায়।
এর আগে ২০১৪ সালে একবার একটি বাঘিনী মৃত সন্তান প্রসব করেছিল এই চিড়িয়াখানায়। তারপর এই প্রথম।
ত্রিপুরার বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা জানান, এই ছানাগুলোর জন্ম পশু সংরক্ষণ এবং বিশেষ করে বাঘ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি বার্তা। তিনি বলেন, 'আমরা সেপাহিজলা চিড়িয়াখানাকে আন্তর্জাতিক মানের একটি কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে চাই। যদি কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করে এবং কেন্দ্রের তরফে সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে আমরা আরও উন্নত পরিবেশ তৈরি করতে পারব।'
তথ্য বলছে, রাজ্যের একমাত্র চিড়িয়াখানা হওয়ায় এখানে শীতের দিকে বহু মানুষ আসেন। এমনি অন্যান্য সিজনেও লোকজনের যাতায়াত লেগে থাকে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রায় ১.৭০ লক্ষ মানুষ সেপাহিজলা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেছেন বলে জানাল কর্তৃপক্ষ।