শেষ আপডেট: 19th September 2024 14:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরে ভোটপ্রচারে এসে ফের গান্ধী-মুফতি-আবদুল্লা পরিবারকে নিশানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় মোদী কাশ্মীরের 'লুটেরা' এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল তিন পরিবারকে দুষলেন।
তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-যুবদের স্কুল-কলেজে যেতে না দিয়ে এই তিন পরিবার তাদের হাতে পাথর তুলে দিয়েছিল। ওদের ফায়দার জন্য ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে। তাই যারা কাশ্মীরে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের হারিয়ে দিন। মোদীর গ্যারান্টি, এখানকার সব যুবককে কাজের সুযোগ গড়ে দেওয়া হবে।
মোদী আরও বলেন, এই তিন পরিবারের হাতে আর কোনও প্রজন্মকে ধ্বংস হতে আমি দেব না। সেই কারণে আমার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হল, এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। আজ কাশ্মীরের স্কুল-কলেজ খোলা। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখছে। তাদের হাতে এখন পাথর নয়, পেন-পেন্সিল, বইখাতা, ল্যাপটপ রয়েছে। এখন এখানে স্কুলে গুলি চলে না। নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
তাঁর কথায়, এই তিন পরিবার ভাবত যে কোনও উপায়ে ক্ষমতায় আসাটাই তাদের জন্মগত অধিকার। তাই জম্মু-কাশ্মীরে আতঙ্ক ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রাখত। ওদের একমাত্র কর্মসূচি হল উপত্যকার মানুষকে দাবিয়ে রাখা। তাদের উপর কর্তৃত্ব চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু এখন তাদের মুঠো থেকে বেরিয়ে এসেছে কাশ্মীরের মানুষজন। এখানকার যুবসমাজই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ওদের পক্ষে আর এই যুবসমাজকে বিপথে পরিচালিত করা সম্ভব নয়।
ভাষণের শুরুতেই কাশ্মীরের মানুষকে স্থানীয় ভাষায় সম্বোধন করেন মোদী। বলেন, আমাদের সকলের লক্ষ্য জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন তাড়াতাড়ি করা। গতকাল, বুধবারের ভোটের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানে গণতন্ত্রের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রথম জঙ্গিপনার ছায়ামুক্ত ভোট হল এখানে। কারণ, এটা হল নয়া কাশ্মীর। আজ এই জনসভায় যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সকলের চোখেই শান্তি স্থাপনের উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি।
এদিন তাঁর ভাষণের অধিকাংশ জুড়েই ছিল গান্ধী পরিবার ও ফারুক-ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি পরিবারকে নিশানা করা। মোদীর কটাক্ষ, এখন এই তিন পরিবার ভাবছে কী করে কাশ্মীরের মানুষ তাঁদেরকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কারণ, এঁরা ভাবতেন কাশ্মীরের উপর, কাশ্মীরি জনতাকে লুটের জন্মগত অধিকার রয়েছে তাঁদের। তবে এবার আমি তা আর হতে দেব না, আশ্বাস দিয়ে বলেন মোদী।