শেষ আপডেট: 14th September 2024 14:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মুর ডোডায় বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রচারের ফিতে কাটলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ৪২ বছর পর প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী ডোডায় পা রাখলেন। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা জম্মু-কাশ্মীরে ভোটের প্রচারে আসলেন মোদী। ডোডা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ভোটপ্রচারে এসে মোদী বলেন, আপনাদের ও দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমি এই ভালোবাসা ও আশীর্বাদের মূল্য রাখব। আমরা নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী জম্মু-কাশ্মীর গড়ে তুলব, এটাই মোদীর গ্যারান্টি।
এরপরেই তিনি কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি এবং মূলত কংগ্রেসকে এই উপত্যকার দুর্দশার জন্য দায়ী করেন। মোদীর কথায়, স্বাধীনতার পর থেকে কাশ্মীরকে বহিঃশত্রুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। স্বজনপোষণের দ্বারা শুষে নেওয়া হয়েছে উপত্যকাকে। যে দলগুলিকে আপনারা ভরসা করেছেন, তারা আপনাদের সন্তান-ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেনি। যুবসমাজকে জঙ্গিপনার দিকে ঠেলে দিয়েছে। পরিবারবাদী স্বজনপোষণে কাশ্মীরকে নিংড়ে নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরে নতুন কাউকে আসার সুযোগমাত্র দেয়নি।
তিনি বড়াই করে বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে আমি নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। আমি কাশ্মীরের জনতার উৎসাহ-উদ্দীপনাকে প্রণাম জানাই। এবারের বিধানসভা নির্বাচন হবে তিনটি পরিবারের বিরুদ্ধে যুবসমাজের লড়াই। আপনাদের একদিকে রয়েছে তিনটি রাজনৈতিক পরিবার আর অন্যদিকে স্বপ্নচোখে যুবসমাজ। কংগ্রেস, পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স যুগ যুগ ধরে কাশ্মীরকে ধ্বংস করেছে। তারা দুর্নীতি এবং সরকারি চাকরিতে স্বজনপোষণ চালিয়ে গিয়েছে। মানুষের মধ্য বিচ্ছিন্নতাবোধ ঢুকিয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ কাশ্মীরে এখন শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে বলে মোদী বলেন, এক দশক ধরে বদল এসেছে কাশ্মীরে। এটা অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল একসময়। তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এখানে অত্যাচারিত হয়েছেন দিনের পর দিন। বিজেপি তার বিরুদ্ধ আওয়াজ তুলেছিল। যে পাথর পুলিশের দিকে উঠেছিল আজ সেই হাতই নয়া কাশ্মীর গঠনে সাহায্য করছে। এসব হয়েছে কাশ্মীরের মানুষেরই জন্য।
ডোডার জনসভায় মোদী বলেন, আমাদের সরকার চায় কাশ্মীরের প্রতিটি শিশু সুশিক্ষা পাক। ওরা আপনাদের বাচ্চাদের শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিল। তাই নতুন স্কুল-কলেজ খুলতে দেয়নি। উপরে উঠতে আপনাদের কেবল সিঁড়ির মতো ব্যবহার করেছে ওরা। গত চার বছরে আমরা ভূস্বর্গে অনেক স্কুল-কলেজ খুলেছি।
মোদী আরও বলেন, এখানে নতুন নতুন চাকরি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি জমানায়। পর্যটকদের জন্য জঙ্গিমুক্ত কাশ্মীর গড়ে তোলাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। জঙ্গিপনার জন্যই কাশ্মীরে চলচ্চিত্রের শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমরা এখন নতুন নীতি নিয়েছি যাতে দেশ-বিদেশের ছবির শ্যুটিং এখানে ফের শুরু হতে পারে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে মোদী বলেন, প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কাশ্মীর ঘুরতে আসেন। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। আমরা নতুন সেতু এবং উড়ালপুল গড়ে তুলছি। খুব শিগগির দিল্লি থেকে কাশ্মীর ট্রেন চালু হয়ে যাবে।